কুষ্টিয়ায় পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি শুরু

0

মোঃ সুজন বিশ্বাস , কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : সারা দেশে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উক্ত কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন কুষ্টিয়া জেলাও সর্বাত্বক পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা । কুষ্টিয়া জেলার মহাসড়কের চারটি পয়েন্টের সকাল থেকে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান গাড়ি চলাচলের ব্যারিকেড তৈরি করে।

ভোর ৬ টা থেকে এ কর্মসূছি চলবে সকাল সাড়ে দশটার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে আলোচনা পূর্বক ব্যারিকেড প্রত্যাহার করা হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়ক মহাসড়কের পণ্য পরিবহন গাড়ি চলাচল একেবারেই কোমেগেছে। এতে সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়া জেলার পণ্য পরিবহন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা পণ্য পরিবহন মালিক সমিতির সম্পাদক আসাদুজ্জামান টোকন বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মবীরতিতে পুলিশের হস্তক্ষেপে সড়ক থেকে পণ্য পরিবহনে গাড়ি চলাচলে আমাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবেও নিজেদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শ্রমিকরা এবং মালিকরা তাদের পণ্য পরিবহনের গাড়ি বন্ধ রেখেছে।

এদিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে ট্রাক এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হয়, দুপুরে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ মোঃ আশিকুর রহমানের হস্তক্ষেপে এ সড়কের ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রাক ও লরি সংগঠনের খোকসা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বাবলু জানান, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা সারাদেশের কর্মসূচির অংশ হিসাবে কর্মবিরতি পালন করছি। মালিক-শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই সকল পণ্যবাহী গাড়ি পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

সড়কপথে ‘পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য’সহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ছাড়া গাড়ির কাগজপত্র চেক করা যাবে না। এছাড়া যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি-এর বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এছাড়া ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব মালিককে ফেরৎ দিতে হবে।

সড়ক-মহাসড়কে শ্রমিকদের বিশ্রামের কোনও জায়গা নেই উল্লেখ করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, আমরা দাবি রেখেছি নির্ধারিত দূরত্ব পর-পর শ্রমিকদের ট্রাক টার্মিনালসহ বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.