পাবনায় আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে স্ক্রিনিং কার্যক্রম সর্ম্পকে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘ওসাকা’র উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় পাবনা জেলায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম সর্ম্পকে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, এসডিজি আস্তবায়নে সুপ্রেয় পানির ব্যবস্তাার বিকল্প নাই। প্রত্যেক ১০ টি পরিবার নিয়ে একটি সাবমার্সসেবল বসানো প্রয়োজন। বিশ্বে ১০০মিলিয়ন মানুষ আর্সেনিকে আক্রান্ত। বাংলাদেশে ৯৫ ভাগ পানিতে আর্সেনিক আছে। পদ্মা নদীর পানি সুপ্রেয় করে পাবনায় সরবরাহ করার কাজ চলছে। আর্সেনিক সনাক্তের পরিধি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর্সেনিক সর্ম্পকে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পাবনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহরাজ হোসেন-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আফরোজা আখতার।
উপস্থিত ছিলেন ওসাকা’র পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোন্দকার মনসুর রহমান, সামাজিক বনবিভাগের বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র, পাবনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিচালক শামসুল আলম, পাবনা প্রেস ক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা সামিউল আলম, পাবনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক, পাবনা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ ইমামুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আনোয়ার উল্লাহ প্রমুখ।
নির্বাহী প্রকৌশলী তাঁর বক্তব্যে জানান- আর্সেনিক মানব দেহের জন্য এক ধরনের ক্ষতিকর বিষ। এটি মানুষের স্নায়ু শক্তি কমিয়ে দেয়, ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং এমনকি কিডনি, লিভার, ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই নিরাপদ পানির উৎস সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর উদ্যোগে ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প -অৎংবহরপ জরংশ জবফঁপঃরড়হ চৎড়লবপঃ’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে পাবনা জেলার সদর, ঈশ্বরদী, বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকার প্রতিটি পানির উৎসের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ মেহরাজ হোসেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যাদি উপস্থাপন করেন। এরপর প্রকল্প সম্পর্কে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ওসাকার সিনিয়র কর্মকর্তা মোঃ শামসুজ্জামান।