সাংবাদিকের বাড়িতে ককটেল পেতে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
পাবনা প্রতিনিধি : দৈনিক যুগান্তর ও চ্যানেল আই এর পাবনাস্থ ষ্টাফ রিপোটার, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার এর গ্রামের বাড়িতে বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে ককটেল পেতে রাখে দুবৃর্ত্তরা।
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে প্রতিবেশীরা দেখে জানানোর পর গেট খুলে বাড়ির সদস্যরা লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা সদৃশ তিনটি বস্তু দেখতে পান।
বাড়িতে বসবাসরত সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতার এর বড় ভাই অব. সেনা কর্মকর্তা শামসুর রাহমান মিয়া (৭৫) বৃহস্পতিবার সকালে জানান, তিনি সস্ত্রীক এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তার অপর ৪ ভাই চাকরিসূত্রে ঢাকা, পাবনা ও রাজশাহীতে বসবাস করেন। তার এক ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। তার দু’ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে তারা বৃদ্ধ- বৃদ্ধা (স্বামী- স্ত্রী) নিরিবিলি বসত করেন। তাদের সাথে কারো কোন বিরোধ নেই। বিরোধ হওয়ার মত কোন কারণও নেই। অথচ তার বাড়িতে কে বা কারা ককটেল সদৃশ বস্তু রেখে গেছে। তিনি জানান, সকালে তার এক প্রতিবেশী আবুল কাশেম প্রথমে দেখেন। তার ডাকেই তিনি গেট খুলে ঘরের পাশে তিনটি ককটেল সদৃশ বস্তু দেখতে পান। তিনি এ চরম আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি তার গ্রামের বাসিন্দা ও পুরানভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এএম রফিকুল্লাহ ইউপি সদস্য ও পুলিশে জানান।
রঘুনাথপুর গ্রামের অনেক বাসিন্দা জানান, শামসুর রাহমান মিয়া একজন বৃদ্ধ মানুষ। তিনি খুবই নিরিবিলি জীবনযাপন করেন। তার সাথে কারো কখনও ঝগড়া বিবাদ হয় না। তার ভায়েরা সাধারণত ঈদে বাড়ি আসেন। প্রতিবেশিরাও এমন ঘটনার কোন কারণ অনুমান করতে পারছেন না। তবে বিষয়টি টের না পেলে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে তারা জানান।
ঘটনাস্থলে থাকা আমিনপুর থানা পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ আলী জানান, ওই বাড়ির গেটের পাশে রাখা ককটেলসদৃশ বস্তু তিনটি কি তা তারা বুঝতে পারছেন না। এ বিষয়ে এক্সপার্টগণ আসার পর তারা বলতে পারবেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, সকলে খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তিনি জানান, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।