পাবনার সুজানগরে ইউপি নির্বাচনে নৌকা ৮, বিদ্রোহী ২
পাবনা প্রতিনিধি : সুজানগর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ১০ ইউনিয়নের আটটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও দুইজন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সম্মেলনকক্ষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন।
বিজয়ীরা হলেন, ভায়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৬৫৫৫ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক পেয়েছেন ৪২২৯ ভোট।
তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মতিন মৃধা (নৌকা) পেয়েছেন ৬৪৮২ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৫০৫০ ভোট।
মানিকহাট ইউনিয়নে শফিউল আলম (নৌকা) পেয়েছেন ১৪৩৪৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্বাস আলী মল্লিক পেয়েছেন ৪৬৯০ ভোট।
দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৭০৬৩ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপন ভাতিজা সাইদুর রহমান সাইদ পেয়েছেন ৬৪৮৩ ভোট।
সাগরকান্দি ইউনিয়নে শাহিন চৌধুরী (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ১৩৫৪৭ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ্ব তৈয়ব আলী শেখ পেয়েছেন ৩৫২৮ ভোট।
রানীনগর ইউনিয়নে এইচ এম পিযুষ (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৭৩৮৬ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ আলী পেয়েছেন ২৪৪৯ ভোট।
নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মশিউর রহমান (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৫৯৪০ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিপু মুন্সী পেয়েছেন ১৬৬৪ ভোট।
আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল মিয়া (নৌকা) তিনি পেয়েছেন ৭৫৫০ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপন ভাতিজা মাহবুবুর রহমান হিরা মিয়া পেয়েছেন ৬০১০ ভোট।
অপর দুইজন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে আবুল হোসেন (স্বতন্ত্র প্রার্থী) তিনি পেয়েছেন ৯০৫৮ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল আলম (নৌকা) পেয়েছেন ৬৫৭৬।
হাটখালি ইউনিয়নে ফিরোজ খান (স্বতন্ত্র প্রার্থী) তিনি পেয়েছেন ৭৫৫৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ সরদার (নৌকা) পেয়েছেন ৩৩৪৭ ভোট।
সুজানগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন বলেন, ১০ ইউনিয়নে ৮ টিতে নৌকার প্রার্থী ও বাকি দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছে। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রায় সকল ইউনিয়নেই সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ইচ্ছামত ভোট দিয়েছে। যে প্রার্থীর সমর্থক বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।