চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের কৃষক ছাদেক আলী বেগুনি ধানের আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন

0
মোঃ পলাশ উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার মাটি ও জলবায়ু সকল ফল ও ফসলের উপযোগী। এই মাটিটি সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফল এবং ফসলের সংমিশ্রণে থাকে। নতুন ফল ও ফসলের চাষে চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের সমানে আর কেউ নেই। এবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের কৃষক ছাদেক আলী বেগুনি ধানের আবাদ করে সাড়া দিয়েছেন।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি জমিতে নতুন ফসলের মতো । না, এটি কোনও নতুন ফসল নয়। ধানের গাছগুলি বেগুনি রঙের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাতাসে দুলছে। আপনি এটি দেখলে আপনার চোখ ভরে যায় এবং আপনার আত্মা ভরে যায়। প্রতিদিন প্রতিটি বয়সের মানুষ এই ধানক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন। এলাকার কৃষকরা বলছেন যে তারা এই ধান দেখে মুগ্ধ। ফলন ভালো হলে অন্যরাও বেগুনি এই ধানের আবাদ করবেন। কৃষক ছাদেক আলী জানান, পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহ সফরকালে তিনি একটি জমিতে বেগুনি ধান দেখেছিলেন। সেখান থেকে তিনি কয়েকটি গুচ্ছ সংগ্রহ করে বীজ তৈরি করেন। এর পরে তিনি এক বিঘা জমিতে এই বেগুনি ধানের আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ চাইলে তিনি জেলায় জেলায় এই ধান ছড়িয়ে দিতে চান।
চুয়াডাঙ্গা ফার্মের উপ-পরিচালক মোঃ আলী হাসান জানান, ধানটি নিবন্ধিত জাত ছিল না। এটি কৃষকরা আবিষ্কার করেছিলেন। তবে ফলন মোটেও খারাপ নয়। এই ধান আউশ ও বোরো উভয় মৌসুমেই চাষ করা যায়। ধানের চারা সবুজ এবং পাকা হয়ে গেলে তারা সোনালি হয়ে যায়। তবে ভাত বেগুনি রঙের হলেও তা বেগুনি থেকে যাবে। তবে ভাত সাদা হবে।
আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.