হরিণাকুণ্ডুর লালন সড়কের বেহাল দশা

0

তুষার হাবীব (হরিনাকুন্ডু) ঝিনাইদহ : পানের জন্য বিখ্যাত এই জনপদ প্রধান সড়ক শুধু একটা নাম লালন সড়ক মরমী কবি বাউল সম্রাট লালন শাহে্র নামে নামকরণ করা এই সড়কের আজ বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই।  বলছি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার প্রধান সড়কের কথা ।  এই সড়কের টেন্ডার হওয়ারও পাঁচ মাসের ভিতর শুরু হয়নি পুনর্নির্মাণ কাজ। আদৌ পুনর্নির্মাণ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সাধারণ মানুষের মনের মধ্য। ইতোমধ্যে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর গর্তের। যার কারনে সড়কটি দিয়ে চলাচল রত পাখিভ্যান, ইজিবাইকসহ, ছোট ছোট যানবাহনের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

লালন সড়কে উপজেলা থেকে বাঁকচুয়া পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার জুড়ে এই ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। লালন সড়কটির গাঘেঁষে রয়েছে উপজেলার একমাত্র সরকারি লালন শাহ্‌ কলেজ যা এই উপজেলার একমাত্র সরকারি অনার্স কলেজ। এছাড়াও রয়েছে আরও একটি কলেজসহ অন্তত পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এলজিইডি সূত্রে জানা যায়,গতবছর তৈলটুপি থেকে বাঁকচুয়া পর্যন্ত সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয় কার্পেটিংয়ের কাজ। বাকি বাকচুয়া থেকে উপজেলা দোয়েল চত্বর পযন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক খুব দ্রুত পুননির্মানে কাজ শুরু হবে।এই সড়কের রামনগর বটতলার কালভার্ট, জোড়াদহ কলেজের সামনের জিকে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে কুলবাড়িয়া বাজারের কাছে আর্শিনগর নামক স্থানে বড় পুকুরপাড়ের কাছে রাস্তার বেহাল দশা, প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে।

তবে আশার বাণী এইযে । সড়কটির টেন্ডার এবং পুর্ননির্মানের আদেশ হয়েছে রামনগর বটতলা এলাকার আনিচ নামে এক পান ব্যাবসিক বলেন আমরা এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত জেলার বিভিন্ন পানের বাজারে ব্যাবসায়িক কাজের জন্য আলমসাধু যোগে যাতায়াত করে থাকি কিন্তু রাস্তা ভাঙ্গা হওয়ায় আমাদের এখন আগের তুলনায় প্রায় ডবল সময় লাগছে। যা আমাদের পন্য বেচাকেনার জন্য খুবই ক্ষতিকর, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন আর খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসব জায়গায় একটু বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে থাকে। যানবাহন তো দূরের কথা, এখানে হেঁটে চলাচল করা দায় হয়ে যায়।

ঝিনাইদহ এলজিইডির তথ্যমতে, ইতোমধ্যে সড়কটির ওই সাড়ে ১২ কিলোমিটার এলাকা পুনর্নির্মাণের জন্য টেন্ডার সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এবং আগষ্টে তা সম্পন্ন হয় দরপত্র পেয়েছেন ইপিআইসি কেএপি পিওটি একেএইচআই জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলজিইডির আম্পান প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা সড়কটির পুনর্নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বেহাল সড়কে মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই এটির পুনর্নির্মাণ খুব দ্রুত শুরু করার জন্য এলাকা বাসি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.