আটঘরিয়ার পারখিদিরপুর স্কুলে চলছে ব্যাচ করে প্রাইভেট-বাণিজ্য

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : করোনা মহামারির কারণে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পারখিদিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কক্ষে এই নির্দেশ অমান্য করে কিছু অর্থলোভী শিক্ষক প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষকরা স্কুল কক্ষে ব্যাচ করে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও ওই শিক্ষকেরা তা কানে তুলছেন না।

সরেজমিনে ঘুরে এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারখিদিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক সানোয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক কামরুল হোসেন প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে কক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। কক্ষগুলো বেশ ছোট হলেও সেখানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বেঞ্চ ঢুকিয়ে তাতে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থী বসানো হচ্ছে।

পারখিদিরপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, স্কুল কক্ষে দুই শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। আমি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেও কোনো ফল হয়নি। স্থানীয় মোয়াজ্জেম হোসেন, রইচ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সকালে রাস্তায় বের হলে শিক্ষার্থীদের দল বেঁধে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতে দেখা যাচ্ছে। এভাবে চললে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

বিএসসি শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, আসলে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের সাজেশন দেওয়া হয়। আর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের সামান্য পড়াখেলায় হেল্প করা হয় মাত্র। স্কুল প্রাইভেট পড়ান এমন এক শিক্ষক জানান, অভিভাবকদের চাপে তাঁর মতো কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে বলে তিনি দাবি করেন।

পারখিদিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, আমরা বার বার তাদের বলার পরেও তারা প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেচেন তিনি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাজাহান আলী বলেন, প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.