থামছে না রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুরি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ট্রাকসহ লোহার রড ও পাইপ চুরি এবং ক্রেনের ক্যাবল চুরির ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই চোর চক্র এবার তামার তার চুরির চেষ্টা চালিয়েছে। পাবনার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একের পর এক চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্যে এ ধরণের চুরির ঘটনায় বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে মুকুল হোসেন (৪৫) প্রকল্পের ভেতর থেকে ১০ দশমিক ৬ মিটার তামার তার চুরি করে ৪ নম্বর গেট দিয়ে পাচারের সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। সোমবার মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, রূপপুর প্রকল্প থেকে চুরির অভিযোগে আটক ব্যক্তিকে নিয়মতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন বছরের শুরুতেই রূপপুর প্রকল্পের ভিতর থেকে জাহাজে মালামাল উঠানোর নির্ধারিত স্থানে রাখা দুটি ক্রেনের ২৯৫ মিটার ক্যাবল চুরি হয়। ১২৬ চাকা বিশিষ্ট ওই ক্রেনের চুরি যাওয়া ক্যাবলের মূল্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় আছের ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটির ভিএন তুরুটিন বাদী হয়ে ঈশ^রদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কুষ্টিয়া থেকে ওই মামলায় আপন সহোদর দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও চুরি যাওয়া ক্যাবল উদ্ধার করতে পারেনি।
এর আগে ২৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের ভেতর থেকে বাইরে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাকে প্রায় ১০ টন লোহার রড ও পাইপ বের করার সময়ে পুলিশ জব্দ করে। সে সময়ে পুলিশ পাচারকারী চক্রের সদস্য পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রূপপুর মোড়ের মৃত হাসেশ আলীর ছেলে মিরাজ আলীসহ (৩৪) ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জনসাধারণ বলছেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের একটি বৃহৎ ব্যয়বহুল প্রকল্প। এখানে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাবলয় রয়েছে। সেখানে কিভাবে একের পর এক চুরি ও পাচার করা হয়। এই প্রকল্প মানে দেশকে পৃথিবীর বুকে জানান দেয়া। এই প্রকল্পে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কর্মরত। সেখানে এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধে কঠোর ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী বলে মনে করেন তারা।