সাতক্ষীরায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ!

0

রিজাউল করিম সাতক্ষীরা : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে বাজারমূল্যের পাগলা ঘোড়া যেন কিছুতেই থামছে না। যখন তখন কোন যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই সব ধরণের দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। আর তাতে নাভিম্বাস উঠেছে ক্রেতা সাধারণের। বিশেস করে স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আয়ের সাথে ব্যয় সমন্বয় করতে পারছেন না।

সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার, টাউন বাজার, মিল বাজার, কদমতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের দামের উর্দ্ধগতি। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। অপরদিকে ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি ৫২ টাকায়, মিনিকেট ৬০ ও বাসমতি চাল ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের দামও লাগাম ছাড়া হয়ে উঠেছে। এক লিটার সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। সরিষার তেলের প্রতি কেজি ২০০ টাকা। বেড়েছে মুগ , মুসুরসহ বিভিন্ন ডালের দাম। চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।

কাঁচাবাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের। এ ছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৮৫০ ও গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের উপরে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। কাতলা মাছের কেজি ২০০ টাকা। পিয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা । রসুন, আদা ও গরম মশালার দাম উর্দ্ধমুখী।

ক্রেতা সাধারণ বলছেন তারা আয়তারে সাথে ব্যয় সমন্বয় করতে পারছেন না। অপরদিকে দোকান মালিকরা বলছেন আমরা পাইকারি যে দামে কিনছি তার চেয়ে সামান্য বেশি দামে বিক্রি করছি। বাজারে সব দ্যব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। অধিকাংশ দোকানে বাজার মূল্যের তালিকা নেই। তবে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন ভূমিকা চোখে পড়ে না। ফলে যে যার খেয়াল খুশী মত দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.