নাটোরে পাট খাতের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ সভা
রিয়াজ হোসেন লিটু, নাটোর : নাটোরে পাট খাতের উন্নয়ন বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার।
সভায় বক্তারা বলেন, সোনালী আঁশের বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে চাহিদার শতকরা ৯০ শতাংশ কাঁচা পাট এবং শতকরা ৬০ শতাংশ পাটজাত পণ্য রপ্তানী করে সর্বোচ্চ পাট রপ্তানীকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের জাতীয় রপ্তানী আয়ে একক কৃষি পণ্য হিসেবে পাট খাতের অবস্থান দ্বিতীয় এবং মোট জিডিপি’র অবদান ৪.৮৬ শতাংশ।
দেশের ৪০ লক্ষ জনগোষ্ঠি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাট চাষের উপর নির্ভরশীল এবং মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্নভাবে পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপনন কর্মকান্ডে জড়িত।বক্তারা আরো বলেন, পাট খাতের উন্নয়নে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইতোমধ্যে ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে পাট থেকে কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, ভিসকস, চারকোল, গ্রীণ টি, পাটের পলিথিন ইত্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের বৈচিত্রকরণ এবং সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সমৃদ্ধি অর্জন আরো জোড়দার হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হারুন-অর-রশীদ, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, নাটোর জুট মিলস্ এর পরিচালক প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা এবং পাটচাষী ও ব্যবসায়ীবৃন্দ। পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মোঃ হাফিজুর রহমান সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন।পাট খাতের উন্নয়ন, পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জোরদারকরণ শীর্ষক এই উদ্দুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করে পাট অধিদপ্তর। সহযোগিতা প্রদান করে জেলা প্রশাসন।