নেত্রকোণায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণার সদর উপজেলায় প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার উৎকর্ষ এবং পেশার আধুনিকায়নের মাধ্যমে তাঁদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সমাজের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণে ও জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ৫ দিনব্যাপী সফ্ট স্কিল প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে গত রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায়, ভার্চুয়াল ভিডিও কলমিটিংয়ের মাধ্যমে কর্মশালার উদ্বোধন করেন, গণপ্রতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো: আমরাফ আলী খান খসরু এমপি। ভার্চুয়াল ভিডিও কলমিটিংয়ের মাধ্যমে কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক ও ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: আলাল উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: আলাল উদ্দিন জানান, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিলুপ্তপ্রায় আদিপেশার মানুষেরা যেমন, কামার, কুমার, নাপিত, মুচি, বাশঁ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারী ও কাঁসা-পিতল পণ্য প্রস্তুতকারীদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো প্রান্তিক পেশাজীবী গোষ্ঠীর জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজে অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি ও তাদের পণ্য রপ্তানি করা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসা। অর্থনৈতিক সম্পৃক্তির মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণ করা। তাদের পেশার টেকসই উন্নয়নের জন্যই এ সফ্ট স্কিল বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
সদর উপজেলায় ২টি ব্যাচে মোট ৩০০ জন এবং বারহাট্টা উপজেলায় ২ টি ব্যাচে ৯০ জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের তাদের নিজ নিজ পেশার উপর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। বারহাট্টা উপজেলায় পরবর্তী ২ টি ব্যাচে আরোও ৯০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণকালীন ভাতা বাবদ ২ হাজার ৫ ’শ করে টাকা প্রদান করা হয় এছাড়াও প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে সরকার এককালীন অনুদান হিসাবে ১৮ হাজার টাকা প্রদান করবেন বলে তিনি জানান।