পাবনায় শ্রী শ্রী জয়কালীবাড়ি মন্দিরে হামলার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : মন্দির কমিটির অনুমতি ছাড় পাবনার কেন্দীয় মন্দির শ্রৗ শ্রী জয়কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে সভা আহবান ও ভাংচুরের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানাতে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী প্রলয় চাকী ১৬ এপ্রিল (শনিবার) সাধারন ডায়েরিটি দায়ের করেন। সাধারণ ডায়েরি নং- ১০৩৪।

যাদের নামে সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে তারা হলেন, পিতা অজ্ঞাত শ্রী সৌমেন সাহা ভানু, পিতা অজ্ঞাত শ্রী কৃষ্ণ কুমার  সান্যাল, পিতা অজ্ঞাত শ্রী আশীষ বসাক, শ্রী শুভ সান্যাল পিতা শ্রী কৃষ্ণ কুমার সান্যাল, পিতা অজ্ঞাত শ্রী তপন সরকার হরি সর্বসাকিন শালগাড়িয়া থানা জেলা পাবনা।
ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার) বেলা ১২ টার দিকে মন্দির প্রাঙ্গণে সভাপতি সম্পাদকের অনুমিত  না নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে কতিপয় ব্যাক্তি একটি সভা আহবান করেন। সভা আহবানের বিষয়টি মন্দির কমিটি জানলে
বহিরাগতদের নিয়ে এই সভা না করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের অনুরোধ করেন।

ঘটনার বিষয়ে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাদলচন্দ্র ঘোষের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র বিরোধী সভা করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধকরা হয় তাদের। মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন পরিষদের অনুরোধ অমান্য করে কতিপয় ব্যক্তিরা সভা আহবান করে। মন্দির ও জান মালের নিরাপত্তা জন্য ঘটনার বিষয়ে সদর থানাকে জানানো হয়।
মন্দির কমিটির আপত্তি সত্বেও সভা প্রস্তুতির এক পর্যায়ে সভা আহবানকারীরা নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে মন্দির প্রাঙ্গণে ভাংচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন।

এসময় উপস্থিত অন্যন্যা ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় সাধারন সম্পাদক প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জীবনের নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে সাধারন ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
সাধারন ডায়রিতে আরো উল্লেখ করা হয় ঘটনার দিন ছিলো বাংলা নববর্ষ। ওইদিন মন্দিরে মন্দিরে বিভিন্ন আনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠানেকে ঘিরে ানেক ভক্ত মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্দিরে আগত ভক্তদের ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত হয়েছে বলে মন্দির কমিটি মনে করেন।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় পত্রিকায় শ্রী শ্রী জয়কালীবাড়ি মন্দিরকে কেন্দ্র করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে মনে করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। পরিষদের সভাপতি শ্রী চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও সাধারন সম্পাদক বিনয় জ্যেতি কুন্ডু সাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.