পাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রবিবার মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দুপর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময় এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিকে একত্রিত করার জন্য অস্থায়ী সরকার গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তৎকালীন নেতৃত্বের দক্ষতায় অল্পসময়েই অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল সেই সরকারের শপথের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক দিকনির্দেশনায় পরিচালিত করেন। ফলে অল্প সময়ে বাঙালির বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অন্যতম। সেদিনের শপথের ধারাবাহিকতায় আমরা পেযেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সারাবিশ্বে জনমত গঠিত হয়। এই সরকারের মাধ্যমে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ জানতে পারে পাকহানাদের বর্বরতা। একপর্যায়ে অনেক দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। আমরা মুজিবনগর সরকারের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেব। জাতীয় চারনেতাকে আমরা সবসময় স্মরণ করব। তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করব।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল খান বলেন, ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। তাদের সঠিক পথ নির্দেশনার কারণে মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসেই বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্ব মূলত বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই গঠিত হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নে সব সময় কাজ করেছেন। দেশের জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছেন ইতিহাসে তা অমর হয়ে আছে। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা প্রেরক- (মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী) উপ পরিচালক : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.