শিক্ষার্থী কথার বাগানে নাইট কুইন ফুটেছে
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মি শারমিন কথা ইসলামের বাগানে ফুলের রানী নাইট কুইন ফুটেছে। দ্বিতীয়বারের মতো ফুলের রানীর আগমনে আবেগে আপ্লুত এই শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। শুক্রবার বিকেলেই ফুল পরিস্ফূটিত হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়ে বাগান পরিচর্যার সময়ে। সন্ধ্যা গড়াতেই সুগন্ধ আর ফুলের প্রকৃত আকৃতি ফুটে উঠে। সারারাত ছিল ফুটন্ত নাইট কুইনের স্থায়িত্ব।
মাস্টার্সের এই শিক্ষার্থী শারমিন কথা ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেই সূত্র ধরেই যোগাযোগ করা হয় তার সাথে। তিনি একজন ফুল ও বাগান প্রেমি। ছোট বেলা থেকেই বাগান ও ফুলের প্রতি তার আসক্তি। এটা নেশায় পরিণত হয়েছে। প্রচলিত অনেক ফুলসহ গাছ তার বাগানে বিদ্যমান।
তিনি বলেন, ৩ বছর আগে তার বাগানে স্থান পায় নাইট কুইন ফুলের চারা। শুরু করেন গভীর পরিচর্যা। তার ইচ্ছে সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে হলেও বাগানে তিনি নাইট কুইন ফুল ফোটাবেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে চারা রোপনের দুই বছরের মাথায় তিনি নাইট কুইন ফুল দেখতে পান। তিনি বলেন, চারা ও মিডিয়া ভালো হলে ১ থেকে সর্বোচ্চ ৩ বার ফুল আসে। গতবারে যখন তার বাগানে নাইট কুইন ধরা দেয় তখন গাছ ও টবসহ তিনি রুমে এনে রেখেছিলেন। সারারাত গেছে নির্ঘুম। ফুলটির সাইজ এতো বড় ছিল যে তার দুহাতেও সেটার পরিপূর্ণ রূপ ধরে রাখতে পারেননি।
শারমিন কথা ইসলাম বলেন, একটি মাত্র পাতার চারা থেকে গাছটি পরিচর্যায় বর্তমানে ৬ ফুট গাছে রূপান্তর হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু চারা তৈরী করে শুভাকঙ্খিদের বাগানে শোভাবর্ধনের জন্য দিয়েছেন। সঠিক পরিচর্যা আর দেখা শোনা করলে সুগন্ধি আর মুগ্ধকর নাইট কুইন প্রতিবছরে নিয়ম করে ফুল দিতে কার্পণ্য করে না।
শারমিন কথা ইসলাম এবারে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার বাড়ি পাবনা সদরের মালিগাছায় (মনোহরপুর বড় ব্রীজ সংলগ্ন)। তিনি সংস্কৃতিমনা আর লেখালেখিতে সম্পৃক্ত।