মহেশখালীতে মাদ্রাসা পরিচালকের নির্দেশে প্রতিপক্ষের উপর মাদ্রাসা ছাত্রদের হামলা
মহেশখালী প্রতিনিধি : মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে এলাকাবাসীর সাথে আল জামেয়াতুল আশরাফিয়া ঝাপুয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই উক্ত হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আল জামেয়াতুল আশরাফিয়া ঝাপুয়া মাদ্রাসার পরিচালক রিদুয়ানুল হকের সাথে তার নয় বোন এবং চাচাতো ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এরই জের ধরে জুমার নামাজ শেষে প্রতিপক্ষের লোকজন মসজিদ থেকে বের হলেই মাদ্রাসা পরিচালক রিদুয়ানুল হক এবং তার সন্তানদের নির্দেশে প্রতিপক্ষ এবং মুসল্লিদের উপর অতর্কিতভাবে তার সন্তানেরা এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা যৌথভাবে অস্ত্র এবং লাঠিসোটা সহকারে অতর্কিতভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। এতে মাওলানা হোছাইন আহমদ এবং তার সন্তান মিছবাহ উদ্দিন, মোঃ সোহেল, মাওলানা সোলাইমানের পুত্র এমরান ধারালো অস্ত্রে গুরুতর জখম হয়ে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার শিকার মাওলানা হোছাইন আহমদ বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে আমাদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের জমিজমা ভোগ করে আসছে মাদ্রাসা পরিচালক রিদুয়ানুল হক। মাদ্রাসার ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি সবসময় আমাদের ভয় ভিতিতে রাখেন। আমাদের উপর আজকের হামলা তারই একটি অংশ। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের উপর এই পরিকল্পিত হামলার বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এদিকে ব্যাক্তিগত বিষয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যাবহারের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ব্যাক্তিগত বিবাদে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাবহারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সংবাদ কর্মী, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, মাওলানা রিদোয়ান ব্যাক্তিগত স্বার্থে তথা প্রতিপক্ষকে দমানোর স্বার্থে সব সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যাবহার করে থাকেন। চাচাতো ভাই,বোন, প্রতিবেশী এবং এলাকাবাসী সবাই ই কোণঠাসা তার অত্যাচারে। এই বিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম চৌধুরী জানান, মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা রিদুয়ানুল হক মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এনিয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। তবে, অভিযুক্ত মাওলানা রিদুয়ানুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তদন্তপূর্বক উক্ত বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং বেপরোয়া মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা রিদুয়ানুল হককে মাদ্রাসা পরিচালকের পদ হতে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ অনেকেই।