কালারমারছড়া পানি চলাচলেরর চরা দখল করে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাকা ঘর নির্মাণ

0

ইয়াছিন আরাফাত, মহেশখালী : মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধার ঘোনা সিসিডিবি বিল্ডিং – পশ্চিমে পাশে সড়কের সাথে লাগায়ো এককালের প্রমত্তা (হালার মা) নামক চরাটি পুনঃ খননের অভাবে এখন প্রায় ভরাট ও ক্ষীণকায় হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে এক শ্রেণির ভূমি দস্যু নির্বিঘ্ন চরাটির অর্ধেক অংশ ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণের মহোৎসব চালাচ্ছে ।

আর স্থানিয় প্রভাবশালী চক্র পাকা দোকান পাঠ নির্মাণ করে অবৈধ ভাবে ফায়দা লুটছে। দখলের কারণে আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী চরাটি। ইতিমধ্যে একটি দোকান পূর্ণ নিমার্ণ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি উচ্ছেদের ব্যাপারে কার্যক্রর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরেকটি দোকান নিমার্ণের কাজ অব্যাহত রেখেছে।

সরজমিন তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধার ঘোনা হালার মা চরাটি অংশের ৫ কিঃ মিঃ গতি পথের প্রায় ৩ কিলোমিটারই নাব্যতা হারিয়ে বালি মহলে পরিনিত হয়েছে। গতি পথের শতকরা ৩০ ভাগ চরাটি এখন বেদখল হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ জায়গাতেই পাকা ও আধা পাকা বাড়ী ঘর তুলে গ্রাম বা আবাস ভূমি তৈরী করা হচ্ছে।

এমনকি চরা দখল করে কেই বালি মহাল স্থাপন আবার কেউ দখলে নিয়ে বাউন্ডারী দিচ্ছে। সরকারী ভাবে কাউকে লিজ দেয়া না হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে আঁধারঘোনা চরাটি দখল করছে। জবর দখলকৃত চরাটি সরকারী দখলে নিয়ে পানি চলাচলের জন্য খনন করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছে। না হলে বর্ষা মৌসুুমে পানির স্রোতের গতির কারণে পাশ্ববর্তী বাড়ী ঘর মসজিদ,মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাবে।

স্থানিয় বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী বলেন,জবর দখলের কারণে ঐতিহ্যবাহী আঁধারঘোনা চরাটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তিনি আঁধার ঘোনা চরাটি থেকে সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও চরা পুন: খননের দাবী জানান। মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, যদি কেউ পানি চলাচলের চরা দখল করে স্থাপনা নিমার্ণ করে থাকলে এটি আইনগত অপরাধ। খোঁজ নিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে পানি চলাচলের চরা উদ্ধার করা হবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.