বেড়া উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আনোয়ারা আহমেদকে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে’ বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের দলীয় প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আমিনপুর থানার নয়াবাড়িয়া গ্রামে।
আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগকারী বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার প্রাপ্ত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নারী নেত্রী আনোয়ারা আহমেদ। তিনি ওই এলাকার সুলতান আহমেদ দুদুর স্ত্রী। পাবনা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষ হয়েছে বলে দাবী করেছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক।
লিখিত অভিযোগে আনোয়ারা আহমেদ দাবী করেন, ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এ সময় বেড়া উপজেলা পরিষদের আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর সমর্থক হরিদেবপুর গ্রামের শাহআলম ও নয়াবাড়িয়া গ্রামের সাইফুর ইসলাম হিরোনের গুন্ডা বাহিনী তারেক, রসুল, রনি, আনাম, নিহার ও ইমরানসহ বেশ কিছু লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজসহ নানা ধরণের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে।
আনোয়ারা আহমেদ বলেন, ঘটনাটি ঘটার পরপরই আমি আমিনপুর থানা বরাবর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দিলেও থানা পুলিশ আমার জিডি গ্রহণ করে রিসিভ কপি দেননি। উল্টো থানার মধ্যেই ওসির উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুসহ তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জ্ঞাত হওয়ায় তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় দফায় আমিনপুর থানার ওসি উল্টো হুমকিদাতাদের সাথে আমাকে জোড়পূবর্ক আপোষ করার চেষ্টা করলে পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম,পিপিএম এর সহোযোগিতায় বিষয়িটি সম্মানজনক সমাধান হয় বলে জানান আনোয়ারা আহমেদ ।
অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর ঘনিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা যায় নৌকা প্রার্থী তার সমর্থকদের এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে । বিষয়টি নিয়ে এখন আর কোন সমস্যা নাই বলে তিনি জানান ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে অভিযোগকারীর কথাকাটাকাটি ও সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। উভয়পক্ষ বিষয়টি বসে আপোষ মিমাংসা করে নেয়ায় বিষয়টি নিয়ে থানায় কোন জিডি নথিভূক্ত করা হয়নি।