পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১১.০০ টায় করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
এ সময় আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারী সমিতি, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, পরিবহন পুল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, রসায়ন পরিবার, অর্থনীতি বিভাগ, বাংলা বিভাগ, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইইসিই বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, লোক প্রশাসন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও রোভার স্কাউট গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে স্বাধীনতার স্বাদ অপূর্ণ থেকে যায়। বাঙালির হাহাকার বাড়তে থাকে। বিশ্ব নেতাদের চাপে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতার আগমনে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে, বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোনারবাংলায় পরিণত করেছেন। জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে আদর্শ নাগরিক হতে হবে আমাদের শিক্ষার্থীদের।
কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার খসরু পারভেজ এক লিখিত বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতি উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর ড.প্রীতম কুমার দাস , ছাত্র উপদেষ্টা, পরিবহন প্রশাসক, গেস্টহাউজ প্রশাসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।