বাগেরহাটের মোংলায় প্রস্তুত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব বর্ষের উপহার ঘর

0

ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান” প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটের মোংলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৫০টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার পাকখালি এলাকায় অত্যন্ত নয়নাভিরাম পরিবেশে এ গৃহ নির্মাণ করা হযেছে। সারিবদ্ধ ৫০টি গৃহ নির্মাণ করায় ওই এলাকার রূপ বদলে গেছে। দেখলে মনে হয় যেন উন্নত স্বপ্নপুরীসম কোন এক ছোট শহর। আর মাত্র কদিন পরেই এ স্বপ্নপুরীর বাসিন্দা হচ্ছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০টি পরিবার। সৌন্দর্যমন্ডিত এ সকল গৃহের কারণে যেমন বদলে গেছে পূর্বেকার কদাচিত রূপ। তেমনি ভাগ্য বদলের কারণে অত্যন্ত খুশি এর সুফলভোগি ও এলাকাবাসী। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ ঘরে সারাজীবন কাটাবেন ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। যারা আগে অন্যের জমিতে, কেউবা কারো বাড়ির এক কোণে, আবার কেউ রাস্তার পাশে ঝুপড়ী ঘরে সমাজের বোঝা হয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটাতেন। তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার গৃহ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।

গৃহ পাচ্ছেন এমন এক সুফলভোগী আঃ রহিম বলেন, তিনি তার পরিবারের সকলকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তিনি নিজের নামে বাড়ি পেয়ে অত্যন্ত খুশি। আরেক উপকারভোগী রেনু বেগম বলেন, আমাদের কোন জায়গা-ঠাই নাই, পরের জমিতে থাকতাম, ২/৩টা (ছেলে-মেয়ে) আমি এ বাড়ি পেয়ে খুশি হইছি, বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীর জন্যে দোয়া করি। হাসিনা অনেকদিন বেঁচে থাকেন। আরো কয়েক উপকারভোগীর সাথে কথা হলে তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ কামনাসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্নার শান্তি কামনা করেন। পরিদর্শনকালে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদর বলেন,প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষনাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম।

প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই পাবেন এ ঘরগুলি।এর ফলে পরিবারগুলি পাবে সামাজিক মর্যাদা ও নতুন ঠিকানা।ঘর বরাদ্দে কোন ধরনের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে সে জন্য সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন ঘরের কাজের মান শতভাগ ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। আগামী ২৩শে জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে এই ঘরগুলির উদ্বোধন করবেন।আমরা ইতিমধ্যে ঘরের মালিকদের দলিলও সুসম্পন্ন করেছি। মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন,মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি খাস জমির উপর গৃহ নির্মাণ করে জমির দলিলসহ ৫০টি উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর পক্রিয়া চলমান রয়েছে।ইতিমধ্যে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের পনির সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য পার্শ্ববর্তী খাস জমিতে পুকুর তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)মোঃ নাহিদুজ্জামান বলেন,ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২শতাংশ জমিসহ ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যায় ২টি বেড,১টি করে কিচেন, বাথরুম এবং একটি বারান্দা বিশিষ্ট টিনশেড পাকা ঘর তৈরী সম্পন্ন হয়েছে।ঘরগুলি নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই স্থানীয় সাংসদ ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার নিয়মিতভাবে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করতে সহযোগীতা করেছেন। ইউএনও মহোদয় নিজেই উপস্থিত থেকে দেখভাল করছেন।কাজে কোন প্রকার অনিয়ম না হয় সে দিকে তিনি সর্বদাই বিশেষ নজর রেখেছেন। মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ৫০টি গৃহ পেয়ে যেমন খুশি হযেছে উপকারভোগীরা, তেমন খুশি আমার এলাকাবাসীসহ আমি।

আমরা সকলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। আওয়ামী লীগ সরকার গরীব-দুঃখী মানুষের উন্নয়ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হাবিবুন নাহার এমপি’র সহযোগীতায় মোংলায়ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৫০টি টিনশেড পাকা ঘর সম্পন্ন হয়েছে। যা, আর মাত্র কয়দিন পরেই উপকারভোগীদের প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য,আসছে ২৩শে জানুয়ারী শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী ৬৯,৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ভূমিসহ গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। তারই ধারাবহিকতায় বাগেরহাটের মোংলায় এই আশ্রয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.