কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় ফাঁসিতে ২ যুবকের মৃত্যুতে কাপ্তাইয়ে শোকের মাতম

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই থেকে : কাপ্তাই প্রজেক্ট বিউবো এলাকায় ফাঁসিতে ২ যুবকের অকাল মৃত্যুতে কাপ্তাইয়ে লোকের মাতব বইছে। কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রজেক্ট এলাকার পিডিবি’র বাসায় পারিবারিক কলহের জেরে ২৪ জানুয়ারী রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে শোয়েব আহম্মেদ (২৬)এর মৃত্যু হয়েছে।কয়েক ঘন্টার ব্যাধানে ২৫ জানুয়ারী ভোর ৬টার দিকে তার পরিবাব বর্গ ফ্যানের সাথ ফাঁসি থাকা ঝুলন্ত অবস্থায় নাইমুর রহমান (২১) নামের যুবকে উদ্ধার করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। কাপ্তাইয়ে পৃথক-পৃথক ভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে কাপ্তাই বিউবো প্রজেক্ট এলাকায়। দুই যুবকের এ আত্ম হত্যার ঘটনায় কাপ্তাইয়ে যুব সমাজের মধ্যে হতাশর শোক বইছে। ময়নাতদন্তের পর জানাজা শেষে সোমবার রাতে দুইজনের লাশ দাফন করা হয়েছে পিডিবি’র হাদীটিলা নামক কবরস্থানে।

নিহত শোয়েব কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্রেরন অপারেটর কয়েস আহম্মদের ছেলে ও নাইমুর রহমান পিডিবি’র ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের কর্মনায়ক ফরহাদ হোসেনের ছেলে। দুজনেরই পিতা কাপ্তাই পিডিবিতে চাকুরী করেন। মৃত যুবক দুইজনই পিতার বরাদ্দকৃত বাসায় থাকতেন বলে জানা জানা যায়। এদের মধ্যে সোয়েব আহাম্মেদ বিউবো উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনাশ্রমে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর নাইমুর গেল বছর কর্নফুলী সরকারি কলেজ থেকে এইস,এস,সি পাশ করেছিলেন।

নাইমুর রহমানের পিতা জানান ফ্যানের সাথে গামছা দিয়া ফাঁস লাগাইয়া আত্ম হত্যা করে। তাকে বাঁচানোর জন্য ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পরে সোমবার ভোর বেলাতে দ্রুত কাপ্তাই মিশন হাসপাতালেনেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এ জোড়া আত্ম হত্যার মুল রহস্য কি ছিল তা এখানো জানা যায় নি।
কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘রাতে প্রজেক্ট এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শোয়েব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। অন্যদিকে নাইমুর রহমান নামের এক যুবকও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে তাদের পরিবারের অবিভাবকরা লিখিত ভাবে কাপ্তাই থানায় অবহিত করেন। এব্যাপারে থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করনে মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.