লকডাউনে পাকশীর আওতায় চলছে দুটি পার্সেল ট্রেন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: লকডাউন পরিস্থিতিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সাশ্রয়ী দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সদর দপ্তরের আওতায় প্রতিদিন দুটি পার্সেল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানান।
পাকশীর বাণিজ্যিক দফতর থেকে আরও জানা যায়, প্রথম পার্সেল ট্রেনটি বুধবার খুলনা থেকে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছেড়েছে এবং বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছায়। নিয়মিত এই ট্রেনটি যশোর, কোটচাঁদপুর, সবদারপুর, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, আক্কেলপুর, জয়পুরহাটসহ মোট ২৪টি স্টেশনে থামবে।
চিলাহাটি থেকে খুলনা আসতে ট্রেনটি ২৮টি স্টেশনে থামবে। শনি, সোম ও বুধবার খুলনা থেকে ও রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চিলাহাটি থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। আবার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আরও একটা পার্সেল স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত দুপুর ১টায় ছেড়ে রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। এটি ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে রাত সাড়ে ৮টায় পঞ্চগড় পৌঁছাবে। আপ এবং ডাউন উভয় পথে ২১টি স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবার পঞ্চগড় থেকে এবং রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ট্রেনটি চলাচল করবে।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির দুটি কোচ ঢাকাগামী পণ্যের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এই কোচ দুটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে কেটে রাখা হবে। পরে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে সংযুক্ত হয়ে ঢাকা চলে যাবে। ফলে খুলনা থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি কোনো পার্সেল ট্রেন চলাচল না করলেও যশোর-চুয়াডাঙ্গার জনগণ ঢাকায় পণ্য প্রেরণ করতে পারবে। যদি কৃষকের পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকে তবে টাইম টেবিলে উল্লিখিত স্টেশনের বাইরেও ট্রেনগুলোর স্টপেজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নাসির উদ্দিন জানান, লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যেন কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সাশ্রয়ী দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছরের ন্যায় এবারও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করল। গত বছর পার্সেল স্পেশাল ট্রেন ও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারও স্পেশাল ট্রেন দুটি কৃষকদের অনেক উপকারে আসবে।