এনটিআরসিএ নিবন্ধিত সনদধারীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
আর কে আকাশ : পাবনায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত সনদধারীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন পাবনা জেলা শাখা।
রবিবার বেলা ১ টায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ মাহমুদ, সদস্য সোহেল বিশ্বাস, কামরুন্নাহার, মুর্শিদা খাতুন, আলমগীর হোসেন, তাছলিমা খাতুন, মামুনুর রশিদ মামুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, চাকরির সনদ, একাডেমিক সনদ নয়। শিক্ষকতা ছাড়া এ সনদ কোনো কাজে আসবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা সনদ-শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। তাই সনদ যার চাকরি তার। সরকারের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে মুজিববর্ষের উপহারস্বরূপ একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পারে এক আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষক সমাজকে অভিশাপ মুক্ত করতে। তাই কৃত্রিম শিক্ষক সংকট এবং এনটিআরসির নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা দূর করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষায় আমরা যারা পাস করে সনদ পেয়েছি, তারা সবাই চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় ষোলটি নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের জন্য মাত্র তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি দিতে সক্ষম হয়েছে এনটিআর সিএ।কিন্তু সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এনটিআরসিএ’র দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। এনটিআরসিএ আমাদের অনেক আইন-কানুন দেখিয়েছে, কিন্তু যখন আমরা পরিপত্র দেখিয়েছি তখন তারা এ ব্যাপারে আর কথা বলতে রাজি হয়নি। তখন তারা বলেছে, আমরা ছোট কর্মকর্তা আপনারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান।
আমরা এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি, মাউশির মহাপরিচালকের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হিসেবে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করছি। সেই সাথে নেতৃবৃন্দ প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ প্রত্যাশী নিবন্ধনকারীরা, সকল নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখার দাবি জানান।