চাটমোহরে স্কুলছাত্রীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন; অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারের দাবি

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা চাটমোহরে স্কুলছাত্রীদের উত্যাক্ত করার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, স্কুলে যাওয়া আসার পথে স্থানীয় পাচুরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম লফিন নামের এক ব্যক্তি ছাত্রীদেরকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানায় লিখিতভাবে জানালেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে উত্যক্তকারী রফিকুল ইসলাম লফীনকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বিশ্বাস, অভিভাবক মাসুদ রানা, স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল জমিদার, শিক্ষার্থী বিউটি খাতুন, খাদিজা খাতুন, রুনা খাতুন, মাহাদি হোসেন, অন্তর আলী প্রমুখ।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ছাত্রীরা আমাদের কাছে গত ২৯ মে লিখিত অভিযোগ দেয়। তারপর আমরা গত ৫ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। গত ১৮ জুন চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার বিদ্যালয় পরিদর্শণ করে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু সহকারি পুলিশ সুপার বিষয়টি ইভটিজিং নয় বলে মন্তব্য করেছেন। এমনকি মামলা করলে ছাত্রী অভিভাবকদের আদালতে দৌঁড়াদৌড়ি করতে হবে, হয়রানী হতে হবে এমন নানারকম কথা বলেছেন। আজ পর্যন্ত অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষককে তার অভিযোগের কপি সংশোধন করে দিতে বলা হয়েছে। আমাদের আইনের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, সে ভাষায় কথা বলতে হয়। কিছু ধারার বিষয় আছে। সেগুলো ঠিক করে আমাদের মামলা নিতে হবে। সে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের বারবার বলা হলেও তিনি লিখিত অভিযোগ সংশোধন করে দিচ্ছেন না। যে কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। মামলা নিতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তো আমাদের সমস্যা নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম লফিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি তাই এলাকার কিছু কুচক্রী মহলকে সাথে নিয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। তবে তথ্য প্রমানে আইনের কাছে যদি দোষী হই আমি যেকোনো সাজা মেনে নিতে রাজী আছি।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.