ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিদেশফেরত প্রবাসীদের সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাংকের ভুয়া রসিদ দিয়ে কম দামে কিনত একটি জালিয়াত চক্র। পরে এসব মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন না করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিত। এভাবে বিমানবন্দরে প্রতি মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা হতো। যার একটি বড় অংশ হাতবদল হয়ে বিদেশে পাচার করা হতো।
এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দেশের চারটি ব্যাংক ও দুটি মানি এক্সচেঞ্জের ২১ কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী ও মো. হুমায়ুন কবির, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এ বি এম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আবদুর রাজ্জাক, বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো. আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদও রয়েছেন আসামির তালিকায়।
দুদক সচিব বলেন, অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশে চলমান ডলার-সংকটের পেছনে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দায়ী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিমানবন্দরের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বৈদেশিক মুদ্রার কালোবাজারি, বিমানবন্দরের জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়।