বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১৬ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৮ মে) জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন এই তহবিলসহ ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মানবিক সহায়তার পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে ১১০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হয়েছে।
নতুন এই তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় সহায়তা করবে। এছাড়া এই তহবিল বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রভাবিত ৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে সাহায্য করবে।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই কার্যক্রমের কারণে আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর ওপর, বিশেষত বাংলাদেশের ওপর যে ব্যয়ভার ও দায়-দায়িত্ব এসে পড়েছে সেগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে। এ অঞ্চলের যেসব দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তাদের জন্য আমরা আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব। গত ১ ফেব্রুয়ারি বার্মার সামরিক অভ্যুত্থান ও বর্বরোচিত সামরিক অভিযান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আমরা আমাদের অঙ্গীকার বজায় রাখবো।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই কার্যক্রমের কারণে আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর ওপর, বিশেষত বাংলাদেশের ওপর যে ব্যয়ভার ও দায়-দায়িত্ব এসে পড়েছে সেগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে। এ অঞ্চলের যেসব দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তাদের জন্য আমরা আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব। গত ১ ফেব্রুয়ারি বার্মার সামরিক অভ্যুত্থান ও বর্বরোচিত সামরিক অভিযান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আমরা আমাদের অঙ্গীকার বজায় রাখবো।
আমরা জানি যে, এই অভ্যুত্থানের বহু হোতা আর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোসহ পূর্বেকার অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ীরা আসলে একই ব্যক্তি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যুত্থান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগে সহায়তা দিতে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে কাজ অব্যাহত রাখব।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত গঠন এবং তাদের ভবিষ্যৎ বিষয়ক আলোচনায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ দেয়া অব্যাহত রাখবো। তাছাড়া, বার্মার অভ্যন্তরে সংকটাপন্ন মানুষদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব অব্যাহত রাখবো। শরণার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এই সময়ে তাদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে আমরা বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা অন্য কোনো দেশে গিয়ে নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার হয়।