বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু নিম্নমুখী। ঈদের ছুটির প্রথম দুই দিনে নমুনা পরীক্ষা এক চতুর্থাংশে নেমে আসায় শনিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। ওই দিন দেশে ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল মাত্র ২৬১ জন। এদিকে এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমেছে ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৪৬ জন। আগের সপ্তাহে মারা গিয়েছিল ৩৬৮ জন।
সেই হিসাবে আগের সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা ১২২ জন বেশি ছিল। মৃত্যুর পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা, পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্ত, সুস্থ রোগীর সংখ্যাও কমেছে। এ সপ্তাহে ৮৮ হাজার ৩০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫৮টি। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ পরীক্ষা কম হয়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে শতকরা ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম শনাক্ত হয়েছে। আবার সুস্থতার হারও কমেছে এক সপ্তাহে। আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৪ দশমিক ১১ শতাংশ কম সুস্থ হয়েছেন। ঈদের পরদিন শনিবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ জন। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩৬৩ জনের শরীরে। সব মিলিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জন হয়েছে। সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ৬০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৫৯টি ল্যাবে ৫ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৭ হাজার ৭১৬টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৫টি।
নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এক দিনে যারা মারা গেছে, তাদের ১৮ জন পুরুষ আর নারী সাতজন। তাদের ২০ জন সরকারি হাসপাতালে, চারজন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা যায়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৭৯৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩৫২ জন মাহিলা।
শনিবার দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২২ জন। এদিন সারা দেশে মাত্র ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে শনাক্ত হয়েছিল মাত্র ২৬১ জন। আগের দিন মারা যায় ২৬ জন। ওই দিন ৭ হাজার ৮৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৮৪৮ জনের। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৩১ জন; যা সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেদিন ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৯০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। বুধবার মারা যায় ৪০ জন। সেদিন নতুন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ১৪০ জন।