বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশকে সিনোফার্মের তৈরি আরও ৬ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন সরকার। শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ফেনালাপের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহার পাঠানোর ঘোষণা দেন।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘নিবিড় মনোযোগ’ রাখছে চীন। জরুরি মুহূর্তে টিকার সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতেই উপহার পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত। তবে এই টিকা কবে নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেয়নি চীনা দূতাবাস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চীনের করোনাভাইরাসের টিকার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। “পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের সাথে চীনের করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনের অনুরোধ করেন। এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বলেন, চীন বাংলাদেশে করোনার টিকার যৌথ উৎপাদনে সেদেশের কোম্পানি গুলোকে উৎসাহিত করবে।”
ওয়াং ই জানান, চীন বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করছে। এর আগে ১২ মে বাংলাদেশের কাছে প্রথম দফা উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা হস্তান্তর করে চীন। সিনোফার্মের তৈরি ওই টিকা আগামী সপ্তাহ থেকে প্রয়োগ শুরু হবে এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘সম্মুখসারির যোদ্ধারা’ অগ্রাধিকার পাবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগে জানিয়েছিলেন।
মহামারীর প্রথম ঢেউ সামাল দেওয়ার মধ্যেই গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি করে বাংলাদেশ। দুই চালানে সেরাম ইনস্টিটিউট ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে। তাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার শঙ্কা জাগায় এপ্রিলে সরকার অন্য উৎস থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা শুরু করে।
এর অংশ হিসেবে এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সরকার। মহামারীর মধ্যে জরুরি বিবেচনায় চীন থেকে সিনোফার্মের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা কেনার একটি প্রস্তাবে ইতোমধ্যে সায় দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে কত টাকায় কী পরিমাণ টিকা চীন থেকে কেনা হবে, আর কতদিনে তা দেশে আসবে, সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।