বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিরল ও জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি থোরাসিক এন্ডোভাস্কুলার এওর্টিক রিপেয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে, এওর্টিক এনিউরিজম রোগের চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। উল্লেখ্য যে, রাজধানী ছাড়া দেশের অন্য কোথাও এর আগে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি। আজ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, যেখানে উক্ত রোগ ও চিকিৎসার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এওর্টা নামক মানবদেহের প্রধান রক্তনালীর চিকিৎসায় থোরাসিক এন্ডোভাস্কুলার এওর্টিক রিপেয়ার নামক এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে কাটাছেড়ার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর থোরাসিক সার্জারি এবং কার্ডিওভাস্কুলার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফ-এর নেতৃত্বে এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশীষ দে ও অ্যানেস্থেশিয়া দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, সফলভাবে এই চিকিৎসা সম্পন্ন করে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর থোরাসিক সার্জারি এবং কার্ডিওভাস্কুলার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফ বলেন, “এটি মূলত উপসর্গবিহীন একটি রোগ। ফলে এটি সাধারণ যেকোন রোগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে রোগীর পেটে ও বুকে ব্যাথা অনুভব হতে পারে এবং প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। পেটের সিটি স্ক্যান, ইউএসজি অথবা এক্স-রে-এর মাধ্যমে এই রোগ সনাক্ত করা হয় এবং সনাক্তের পর চিকিৎসা করানো অতিব জরুরী। সাধারণত সার্জারির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। তবে বর্তমানে থোরাসিক এন্ডোভাস্কুলার এওর্টিক রিপেয়ার-এর মতো বিশেষ ও আধুনিক পদ্ধতিতে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়, যেই পদ্ধতি আমরা ব্যবহার করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন যে এই পদ্ধতি রাজধানী ছাড়া দেশের অন্য কোথাও এর আগে ব্যবহৃত হয়নি এবং বাংলাদেশে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সফলভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হলো।”
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশীষ দে বলেন, “বিরলতম এই রোগের চিকিৎসায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর অভাবনীয় সাফল্যে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের শরীরের ধমনীর কোন অংশ অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকলে তাকে এওর্টিক এনিউরিজম বলা হয়। এওর্টিক এনিউরিজম-এর সাথে সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস ও প্রেসার জনিত সমস্যা আছে তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। তবে এটি জন্মগতও হতে পারে। এওর্টিক এনিউরিজম মোটেও অবহেলা করার মতো কোন রোগ নয় এবং সনাক্ত হলে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ এই রোগের ফলে ৩২-৬৮ শতাংশ রোগীর এনিউরিজম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই আমি আহ্ববান জানাই, আসুন আমরা নিজে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করে তুলতে চেষ্টা করি।”
এভারকেয়ার গ্রুপ সম্পর্কে-
এভারকেয়ার গ্রুপ বিশ্বাস করে যে স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার। উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের চাহিদা পূরণে প্রাইভেট ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৃড় সমর্থক হিসেবে উদীয়মান বাজারে বসবাসরত সকল বয়সের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে সাড়া দিয়েছে এভারকেয়ার। সেই সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবার ধারা পরিবর্তন ও রূপান্তরকরণের মাধ্যমে, ক্রস-কন্টিনেন্টস প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে তাদের উন্নত ও মানসম্মত মেডিকেল সেবা সরবরাহ করছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া এবং নাইজেরিয়া সহ দক্ষিন এশিয়া ও আফ্রিকার উদীয়মান বাজারজুড়ে তাদের সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এভারকেয়ার।
৩০ টি হাসপাতাল, ১৬ টি ক্লিনিক, ৮২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ২ টি ব্রাউনফিল্ড অ্যাসেটস এই প্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিও’র অন্তর্ভুক্ত। দেশের উদীয়মান বাজারে একটি সিস্টেম্যাটিক স্বাস্থ্যসেবা তৈরি করতে প্রায় ১১ হাজার কর্মী নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এভারকেয়ার গ্রুপ গর্বিত। এভারকেয়ার হেলথ ফান্ড-এর মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান এভারকেয়ার, যা উদীয়মান বাজারে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য রাইজ ফান্ডস পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা তহবিল, যা বৈশ্বিক বিকল্প সম্পদ ব্যবস্থাপক টিপিজি’র প্রভাব বিনিয়োগের একটি প্ল্যাটফর্ম। এভারকেয়ার স্বাস্থ্য তহবিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবিত বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান।
যোগাযোগ-
এভারকেয়ার হাসপাতালের পক্ষে-
জিলফুল মুরাদ শানু
লিড-মিডিয়া রিলেশন্স
কনসিটো পিআর
০১৭২২৩০৬০৭৩
shanu.jrn@gmail.com