পাবনা প্রতিনিধি : ফুসফুসে যক্ষায় আক্রান্ত রোগী কিংবা কফে যক্ষার জীবাণুযুক্ত ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি বছরে ১০/১৫ জন মানুষকে যক্ষার জীবাণুদ্বারা সংক্রমিত করে। দেশ থেকে যক্ষা নির্মূলে প্রতিটি যক্ষা রোগীকে দ্রুত রোগ নির্নয় করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হবে। স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন সেটা বাস্তবায়ন ও দ্রুত সম্পন্ন করতে হলে প্রত্যেক শ্রেণিপেশার মানুষকে বেশি বেশি সচেতন হওয়া জরুরী।
পাবনায় যক্ষা রোগ নির্মূল ও প্রতিরোধে কলেজ শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক এডভোকেসি সভা শহরের মিডিয়া সেন্টারে বুধবার বেলা ১১ টায় এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই এডভোকেসি সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন অংশগ্রহণকারীরা।
জেলা নাটাবের আয়োজনে সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মি কামাল আহমেদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ কামাল, পাবনা কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদ হোসেন ফারুক রনি, সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন নাটাবের রাজশাহী বিভাগীয় মাঠ কর্মকর্তা রুহুল আমিন। সভায় পাবনা কলেজ ও আহেদ আলী কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, পুরোপুরি বিনাপয়সায় ধৈর্য্য নিয়ে ওষুধ খেলে যক্ষা নির্মূল হয়। ২০২০ সালে সকল প্রকার যক্ষার রোগীর অনুমিত সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার। যক্ষা রোগের সকল প্রকার সনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৮৮০ জন। যক্ষায় মৃত্যুর অনুমিত সংখ্যা ৪৪ হাজার। নতুন এমডিআর টিবি রোগীর অনুমিত সংখ্যা ৩ হাজার ১০০ জন। বছরে প্রতি লাখে যক্ষা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। প্রতি বছরে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৪ জন। বর্তমানে দেশে যক্ষায় চিকিৎসার সফলতা ৯৪ শতাংশ।