বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডাস আধানম ঘেরেসেসাসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগদানকারী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ এ বৈঠকটি ছিল মহাপরিচালকের সঙ্গে কোনো দেশের সাথে প্রথম সভা। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বিগত পনের বছরের অর্জন, করোনা অতিমারী মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থন ও সহযোগিতা, দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশ সমূহের আঞ্চলিক পরিচালক পদের নির্বাচনে সায়মা ওয়াজেদে বিপুল বিজয় ও অব্যাহত সহযোগিতার জন্য মহাপরিচালককে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মন্ত্রী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ, ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপন ও ভ্যাকসিন তৈরি, কমিউনিটি ক্লিনিককে জনস্বাস্থ্য সেবার মূল কেন্দ্রে রেখে অধিকতর শক্তিশালীকরণ, আউট অব পকেট এক্সেপেন্ডিচার কমানোসহ ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে স্বাস্থ্য খাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও বেশি সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিপুল অর্জন ও উত্তম সেবা সমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে তার দপ্তর থেকে সকল প্রকার সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন টেড্রোস আধানম ঘেরেসেসাসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে আগ্রহের সাথে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং অবিলম্বে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এ সভার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশীদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।