ঈশ্বরগঞ্জে কলেজছাত্রী পুলিশকে ভিডিও কলে ‘ধর্ষক’ চেনালেন

মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর : ধর্ষণের মামলার পরপরই লাপাত্তা হয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। এ ঘটনার পর অনেক চেষ্টা করলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তারকৃত যুবক অভিযুক্ত ব্যক্তি কি-না বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে ভিডিও কল দেয় পুলিশ। এরপর গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানাকে (২৬) ‘ধর্ষক’ হিসেবে নিশ্চিত করেন কলেজছাত্রী।
শনিবার দুপুরে সোহেলকে থানায় আনা হয়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া। ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় অভিযুক্ত সোহেল রানা ঢাকা সাভারের একটি স্থানে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মমরোজপুর গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে।
পাশের গ্রামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ২০ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেয় কলেজছাত্রী। পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় মামলাটি নথিভুক্ত করে।
শনিবার মোবাইল ফোনে কলেজছাত্রী জানান, সকালে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সাদি মোহাম্মদ তাঁর মোবাইল থেকে ভিডিও কল দেয়। এ সময় তারা গ্রেপ্তারকৃত সোহেল প্রকৃত আসামি কিনা জানতে চায়। তখন তিনি সোহেলের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

ঈশ্বরগঞ্জে কলেজছাত্রী পুলিশকে ভিডিও কলে 'ধর্ষক' চেনালেন
Comments (0)
Add Comment