ডোমারে দাদন ব্যবসায়ীর হুমকী

সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : ডোমারে হুমকি, মামলা, উকিল নোটিশের ভয়ে ও আতঙ্কে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছে ৫ টি পরিবার । গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার গোমনাতি ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজকুমার রায়ের নিজ বাড়িতে র্পযায়ক্রমে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভুগি পরিবার গুলো। কেউ কৃষক, দিনমুজুর, শিক্ষক সহ নানা পেশার মানুষ।অনেকে এক বৎসর কেউ আবার দুই বৎসর পুর্বে,ব্যাংক চেকে ও ফাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে ৫ হাজার থেকে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাওলাদ গ্রহন করে।কয়েক মাসের মধ্যে সুদাসল সহ সমুদয় টাকা পরিশোদ করলেও তাদের স্বাক্ষরিত চেক, ফাকা স্টাম্প ফেরৎ দিতে টালবাহানা করে এখন পর্যন্ত পাইনি উদ্ধার করতে ,এ সুযোগেই কিছুদিন পরেই উকিল নোটিস,মামলা করে রাজ কুমারের নামে যা এখন সমন জারি হয়েছে।

দাদন ব্যবসায়ী হরিনচড়া ইউনিয়নের হংসরাজ গ্রামের জগন্নাথ রায় এর ছেলে, হিরাম্ব চন্দ্র রায়, হিরাম্বর ছেলে বাপ্পি চন্দ্র রায়,বাপ ছেলের দাদন ব্যসায় অনেক পরিবার লভ্যংশের টাকা দিতে দিতে আজ পথে বসেছে।তারা যে পেশাদারী দাদন ব্যবসায়ী এলাকার মানুষের কাছে তারা এক নামেই পরিচিত। গোমনাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজকুমার রায়, সোনরায় ইনিয়নের জামিরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, গোমনাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শক্তিনাথ রায়,গোমনাতী ইউনিয়নের তরনীকান্ত রায়ের ছেলে শিক্ষক ধীরেন চন্দ্র রায়, পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনীবাড়ী শিমান্ত পাড়া মৃত রমেশ চন্দ্রের কৃষিজিবি ছেলে তৈলক্ষ চন্দ্র রায়।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্ত ভুগিরা বলেন আমরা টাকা পরিষোধ করেও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি ফেরৎ না পাওয়ায় আমরা হিরাম্ব ও তার ছেলে বাপ্পির বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলছি। এবিষয়ে হিরাম্ব চন্দ্র রায় সাথে কথা হলে বলেন তাদের কে হাওলাদ হিসেবে টাকা দিয়েছিলাম, সময়মত টাকা পরিষোধ না করায় একজনের বিরুদ্ধে মামলা ও কয়েক জনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। কোন হুমকী-ধামকি দেইনি আমি।তাদের সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ সব ভিত্তিহিন।

ডোমারে দাদন ব্যবসায়ীর হুমকী
Comments (0)
Add Comment