নীলফামারীতে সেতু স্থাপনের দাবী দুই ইউনিয়ন বাসীর

সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ টি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষ চরম বিপাকে, সেগুলো হলো কিশোরগঞ্জ সদর, পুটিমারী ইউনিয়ন, রুপালি কেশবা গ্রামের চকচকার ঘাটে ধাইজান নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের ২০গ্রামের ২৭ হাজার মানুষ স্বাধীনতার পূর্ব সময় ধরে দুখের সাগরে ভাসে।

দীর্ঘ বিড়ম্বনা রোধে বাঁশের চাটাই বিছানো সাঁকোয় একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। অনেক সময় সাঁকো ভেঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে অনেক মানুষকে। স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রতি বছর সাঁকোটি নির্মান করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে জোড়াতালির সাঁকো দিয়ে কিছু সময় চলাচল করা যায়। বর্ষাকালে এলাকার মানুষের পাড়াপাড়ে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায় কেউ জানে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেশবা গ্রামের কোলঘেঁষে বহমান ধাইজান নদী, বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র ফসলি জমি মূল ভূ-খন্ড থেকে বিভক্ত করে ফেলেছে। পাশা পাশি বিভক্ত করে ফেলেছে পার্শ্ববর্তী পুটিমারী ইউনিয়নের নিকটতম যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। বাঁশের সাঁকোই ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের মুল ভরসা।

সেতু না থাকায় জমিচাষ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া,অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে মানুষকে।২০০ গজ পেরুলে মূল সড়ক। অনেক সময় সাঁকো না থাকায় হাট-বাজার,স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, থানা, মেডিকেল,পশু হাসপাতালে ২ কিলোমিটার স্থলে ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়।এইসব ভেবে জনগুরুত্বপূর্ণ নদীর ঘাটে একটি সেতু নির্মানের জোর দাবি জানান দুই ইউনিয়বাসী ।কেশবা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নাজিম উদ্দীন বলেন, উত্তর পারে জনগুরুত্বপূর্ণ থানা, মেডিকেল, স্কুল-কলেজ, কেজি স্কুল, সরকারি ব্যাংক, বীমা, এনজিও, মাদ্রাসা হাট-বাজার, জনবসতি সবই আছে। এপারেও স্কুল ও মানুষের বসতি রয়েছে।

প্রতিনিয়ত প্রয়োজনে তাগিদে দুই পারে মানুষই পারাপার হয়।৫০ বৎসর পড়ও সেতু নির্মিত না হওয়ায় কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকার মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়া তারা বুঝতে পরেনি। পুটিমারী ভেড়ভেড়ী এলাকার আব্দুল জলিল বলেন, নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে উপজেলা, ইউনিয়নের সাথে সহজে চলাচল,উৎপাদিত ফসল ঘড়ে,বাজারে কেনাবেচা,আয়-ইনকাম সহ মানুষের জীবন মানের আমুল পরিবর্তন ঘটবে।দুই ইউনিয়নের ২৭ হাজার মানুষের কষ্টের কথা ভেবে চকচকার ঘাটে ধাইজান নদীর উপরে একটি সেতু স্থাপনের জোর দাবী জানায় এলাকা বাসী।

জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য যদি মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেন তাহলে সরেজমিনে তদন্ত করে সেতু নির্মানের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

নীলফামারী
Comments (0)
Add Comment