পুরুষ মানুষের লজ্জার কথা জানালেন ফয়সাল
কবিতা আদি শিল্প। কবিতার উদ্ভব কথাসাহিত্যের জন্মেরও আগে। বিস্তৃতি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস বড়ই বিচিত্র, কবিতাকে আজকের পর্যায়ে পৌঁছাতে পার করতে হয়েছে নানা চড়াই উৎরাই। কাগজ আবিষ্কারেরও অনেক আগে থেকেই মুখে মুখে রচিত হতো কবিতা। মানুষ মুখস্থ করত, অন্যকে শুনিয়ে প্রীত হতো। কবিতার মাঝে থাকে মানুষের হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিয্য মানুষের মনের সুপ্ত কষ্ট,বেদনা, হাঁসি, কান্না, আনন্দ।
সম্প্রতি ” পাবনা জিলার ছাওয়াল-পাল” খ্যাত জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ফয়সাল বীন আশিক আবৃত্তি করেছে তাঁরই স্বরচিত কবিতা ”ব্যাটা ছাওয়ালও শরম পায়”।
উক্ত কবিতা সম্পর্কে ফয়সাল বীন আশিক বলেন;
নারীর জীবন আর পুরুষের জীবনে বৈচিত্র আছে। কেউ কেউ এইসব বৈচিত্রকে লিঙ্গবৈষম্য বলে ভুল করেন। বরং পুরুষের চরিত্র বোঝাতে কঠোরতাকে ব্যবহার করা আর নারী চরিত্র বোঝাতে কোমলতা ব্যবহার করাও এক রকমের বৈষম্য।
লজ্জা-শরম নারীর ভূষণ এমন কথা প্রচলিত। পক্ষান্তরে পুরুষের শরম কম এমনটাও ধরেই নেয়া হয়।
প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারগুলো তা নয়। বরং পুরুষের লজ্জার দিকগুলো একটু আলাদা হয়ে থাকে।
বয়স-শ্রেনী-পেশা-অবস্থানভেদপুরুষের বাস্তবজীবনের কিছু অসহায়ত্ব ও লজ্জা পাওয়ার কথা নিয়েই এই কবিতা।
আসলে অসহায়ত্বের তো শেষ নেই। কিন্তু কবিতা তো সীমিত পরিসর। তাই কবিতায় পুরুষদের লজ্জার একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
পাবনার আঞ্চলিক ভাষার এই কবিতাটি পাওয়া যাবে তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল Faisal Bin Asik -এ।
উল্লেখ্য ফয়সালের ‘মানুষতো কতো কতাই কবি’ কবিতাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
– জাহিদ হাসান নিশান।