পাপ্পু আহমেদ বাংলা গানের পশরা সাজিয়ে ফেরিওয়ালার বেশে বিশ্ব দরবারে
জাহিদ হাসান নিশান : সংগীত প্রসারিত দিগন্তের মতো,অসীম আকাশের মত। প্রতিটি দেশ এবং জাতি সভ্যতার ব্যতিক্রমহীন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে সংগীত। সংগীতের থাকেনা কোন ভৌগলিক সীমারেখা।
সারাপৃথিবীর পরিবর্তনশীল সংগীত জগত থেকে বাংলা গান যেন এই বিদেশের মাটিতে কোনোভাবেই হারিয়ে না যায়,আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল সংগীত ভান্ডার ও তার ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, এমনই দেশত্ববোধ ও শেকড়কে না ভুলে বাংলা সংগীত যেন বিশ্ব-দরবারে পৌঁছে যায় সেই স্বপ্ন আর প্রত্যাশা থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলা ব্যান্ড,ফোক,আধুনিক সব ধরনের গান করে যাচ্ছেন পাপ্পু আহমেদ।
তিনি আপাদমস্তক একজন বাংলা গানের পাখি। যিনি বাংলা সংগীতের পশরা সাজিয়ে ফেরিওয়ালার মত হাজির হয়েছেন নর্থ আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে কানাডা,ইন্ডিয়া,সিঙ্গাপুর, এমনকি উইরোপে ।
জাতীয় সঙ্গীত বিদ্যানিকেতন থেকে ১৯৮০ সালে পাপ্পু আহমেদের সঙ্গীতের পথ চলা। ১৯৮৮ সালের দিকে তিনি ACUSTIC নামে একটি বাংলা ব্যান্ড গড়ে তোলেন। যা সেইসময় দেশের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলে। পাপ্পু আহমেদ ছিলেন একাধারে লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিষ্ট।
পেশায় কম্পিউটার টেকনলোজিস্ট হলেও গানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা নেহায়েত কম নয়। ভৈরবে জন্মগ্রহন করলেও পাপ্পু আহমেদে উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ জেলার সন্তান। তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়।
২০০৫ সাল থেকে এখনো অব্দি, এতো দীর্ঘ পথ তিনি পার করছেন প্রবাসে, কিন্তু বাংলা গান তিনি একদিনের জন্য ও ছাড়েননি। সারাদিন কঠিন পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরে যখন নিজের গিটারে সুর তোলেন তখন তার চোখে মুখে ফুটে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। হয়তো জীবনের তাগিদে আজ তিনি অনেক দূরে, কিন্তু বাংলা গান দিয়ে দেশের সাথে যে বন্ধন তিনি তৈরী করে রেখেছেন তা আজন্মের, কখনো ছিঁড়ে যাবার নয়।
বাংলা গানের শব্দ উচ্চারণে, সুর আর সঙ্গীতের মধ্যেই নিজের শেকড়, দেশ,মা,মাটিকে খুঁজে পান এই আত্মমগ্ন গায়ক পাপ্পু আহমেদ। ডি-রকস্টার পাপ্পু আহমেদকে কেউ বলেন, এ প্রজন্মের আয়ূব বাচ্চু, কেউবা তাঁর গানে খুঁজে পান আজম খাঁনকে। তাঁর গানের মাধ্যমে মানুষ আরাম খুঁজে পায়, শ্রান্তি খুঁজে পায়,মনকে হারিয়ে ফেলার উন্মাদনা খুঁজে যায়। যাঁর গান মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। অনুভূতিকে স্পর্শ করে। কন্ঠ,সুর আর গানের কথায় মগ্ন হয় হাজারও গান পিপাসু শ্রোতা।
জাহিদ হাসান