নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পার্বত্য বান্দরবানের ছেলেমেয়েদের সেবা ও দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করবে

0

রিমন পালিত:বান্দরবান প্রতিনিধি : আজ ১১ মার্চ সোমবার সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিডওয়াইফারি কোর্সের ভর্তি বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ওরিয়েন্টেশন সভা ।

নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতিসংঘ তহবিল ইউএনএফপিএ (UNFPA) এবং গ্রীন হীল এর সহযোগিতায় পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে জেলা পরিষদ হল রুম প্রাঙ্গণ নার্সিং বিষয়ক মিডওয়াইফারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের মিডওয়াইফারির কনসালটেন্ট ফরিদা বেগম, প্রোগ্রাম এনালাইসিস প্রণীতা রাহা,গ্রীন হিলের চীপ অফ পার্টি সাইলু মং মারমা , এক্স ডেপুটি ডিরেক্টর প্রশাসন প্রু ম্যা কই , ইউএনএফপিএ এর ফিল্ড কর্মকর্তা ত্রিমুথী খিয়াং, গ্রীন হিলের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর সীমা তঞ্চঙ্গ্যা
সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অনেকে।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের কোর্সের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়, যা তাদের ভবিষ্যতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সেবায় আরও দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিশেষভাবে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ সীমিত এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশায় দক্ষতার অভাব রয়েছে।

জাতিসংঘ তহবিল ইউএনএফপিএ এবং গ্রীন হীল এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক প্রকল্প এবং সহায়তার কথা তুলে ধরা হয়, যা এই প্রশিক্ষণ কোর্সের সফল বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই কোর্সটি বাস্তবায়িত হবে, যা স্থানীয় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পেশাদারদের উন্নতির জন্য একটি বড় সুযোগ।

এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। অংশগ্রহণকারীরা এই প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে নিজেদের পেশাগত দক্ষতা উন্নত করার জন্য উৎসাহিত হন।

পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বক্তারা জানান।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.