সস্তায় করোনার ট্যাবলেট পাবে বাংলাদেশসহ ১০৫ দেশ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারতের ন্যাটকো ফার্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাসপেন ফার্মাকেয়ার হোল্ডিংস ও চীনের ফসুন ফার্মা উৎপাদন করবে মলনুপিরাভির নামের এই বড়ি।

এতে ১০৫ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে কম দামে পাওয়া যাবে ওষুধটি। কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে ওষুধ পৌঁছে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তির অধীন এই বড়ি তৈরি হবে। অন্যান্য কোম্পানিকে ভাইরাসপ্রতিরোধী মলনুপিরাভির উৎপাদনে মার্কের সবুজসংকেত ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের জন্য বিরল উদহারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাধারণত তারা বহু বছর ধরে নিজেদের প্যাটেন্ট অধিকার সুরক্ষিত রাখে, অন্য কোম্পানিকে দিতে চায় না।

মহামারির মধ্যে কম দামে ওষুধ বিক্রি করায় স্বত্বও দাবি করবে না মার্কিন এই কোম্পানি। জাতিসংঘ সমর্থিত প্যাটেন্ট পুল (এমপিপি) মার্কির সঙ্গে এ সম্পর্কিত চুক্তির আলোচনা করেছে। তবে রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা কম দেখা দেওয়ায় ওষুধটি নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বড়িটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বড়িটির অনুমোদনে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে বহু দেশে সরবরাহ পৌঁছাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

এমপিপি বলছে, চুক্তির শর্তানুসারে ১০৫টি স্বল্পোন্নত দেশে মলনুপিরাভির বিতরণ করা হবে। পাঁচদিনের জন্য ৪০টি বড়ির মলনুপিরাভির কোর্স নির্ধারণ করা হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর যার দাম ২০ ডলার হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হবে এক হাজার ৭১৯ টাকা। প্রথম ১৭ লাখের প্রতিটি কোর্সের জন্য ৭০০ ডলার দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুসারে, দরিদ্র দেশগুলো খুব কম দামেই পাচ্ছে মলনুপিরাভির।

নতুন চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ১১টি দেশের ২৭টি জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তৈরি হবে এই ওষুধ। এগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে পাওয়া যাবে মলনুপিরাভিরের কাঁচামাল। ১৩টি কোম্পানি কাঁচামাল ও ওষুধ তৈরি করবে। আর নয়টিতে শুধু ওষুধটি তৈরি করা হবে।

এমপিপি’র মুখপাত্র বলেন, চুক্তির অধীন কোনো কোনো কোম্পানি ফেব্রুয়ারিতেই মলনুপিরাভির উৎপাদন শুরু করবে। পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে হবে। ডিসেম্বরে অনুমোদনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রতিরোধে বড়িটির ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কার্যকারিতা কম থাকায় বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। কেউ কেউ ফের ক্রয়াদেশ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি। জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর ভারতে এটি বিক্রি করা যায়। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দেশটিতে মলনুপিরাভির ব্যবহারের সুপারিশ করা হচ্ছে না।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.