নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে মসজিদে মুসল্লীদের উপর কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হামলা
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে মুসল্লীদের উপর এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হামলায় কয়েকজন মুসল্লী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) জুম্মার নামাজের সময় স্থায়ী একটি মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবকটিকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় মুসলিম কমিউনিটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর ইউএনএ’র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নর্থ ব্রঙ্কস এলাকার ২০৬ রশোম্ভ এভিনিউতে নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টরে (জামে মসজিদ) শুক্রবার বেলা একটার দিকে পবিত্র জুম্মার নামাজের জন্য মুসল্লীরা মসজিদে সমবেত হতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে মসজিদের অভ্যন্তরে জায়গা না হওয়ায় আর করোনাভাইরাস জনিত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে নামাজের জন্য মসুল্লীরা ফুটপাত ও রাস্তায় অবস্থান নেন। নামাজ শুরুর আগেই বাইক (মটরসাইকেল আরোহী) নিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক উত্তেজনাকর কথা বলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে অকস্মাৎ মসল্লীদের উপর বাইক উঠিয়ে দেয়। এতে কয়েকজন মুসল্লী সামান্য আহত হন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মুসল্লীরা তাকে ঘেরার করে এবং ৯১১-এ কল করলে দ্রুত এনওয়াইপিডি’র বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই এবং উত্তেজিত মুসল্লীদের কবল থেকে পুলিশ যুবকটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলাকারী যুবকের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও সে আফ্রিকান বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। উল্লেখিত ঘটনায় আহতদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ড-৭ এর সদস্য এবং বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা মঞ্জুর চৌধুরী জগলু ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, মুসল্লীদের উপর হামলাকারী যুবকটি স্থানীয় এলাকায় বাস করে এবং মাঝে মধ্যেই কারো না কারো সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে যায়। শুক্রবারদিন জুম্মার নামাজের সময় মসজিদের বাইরে নামাজের অপেক্ষমান একজন বাংলাদেশী তরুণের সাথে আকস্মিকভাবে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উপস্থিত মুসল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বাইক সহ তাকে আটক করে পুলিশ কল করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি জানান, উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ঘটনার মিমাংসা করা হয় এবং ঘটনার ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। হামলাকারী যুবকটিকে সতর্ক করা হয়েছে। ব্রঙ্কসে বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা আব্দুল হাসিম হাসনু ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন এটা অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা এমনটি আশা করি না। তিনি বলেন ঘটনাটি ‘হেইট ক্রাইম’ কিনা তা সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা এবং ঘটনার সাথে জড়িত যুবকের দৃষ্টান্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ।