নিউইয়র্কে আমানউল্লাহ আমান হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে জীবন দেবো

0

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি এবং ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার জিয়া-খালেদা-তারেকের জনপ্রিয়তায় ভয় পায় বলেই ক্ষমতায় থাকতে যা যা করার তাই করছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? দেশের জনগণ জেগে উঠছে। বিএনপি’র নেতৃত্বে ‘গণবিরোধী, স্বৈরাচারী’ এই সরকার পতনে প্রয়োজনে ‘আমান-নাজিম’রা প্রাণ দেবে। ৯০-এর আন্দোলনের মতো ঢাকাকে অচল করেই হাসিনা সরকারের পতনে এক দফা আন্দোলন সফল করা হবে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সরকার জনবিরোধী হলে, জনগণ ক্ষেপে গেলে যা হয়, শ্রীলঙ্কায় তাই ঘটছে। খবর ইউএনএ’র।

নিউইয়র্কে গ্রেটার ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান উপরোক্ত কথা বলেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় উডসাইডস্থ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের বাসায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসু’র সাবেক এজিএস ও সাবেক এমপি নামি উদ্দিন আলম এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ। এম এ বাসেতের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সুরুজ্জামান সহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম কচি, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি গ্রেটার ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম-এর সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন, সভাপতি ফারুক হোসেন, আব্দুল করীম, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপি’র প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন।

সভায় বক্তারা ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা, তৎকালীন ডাকসু’র ভিপি আমানের নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তাকে ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক মনোনীত করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আমান উল্লাহ আমানকে বিএনপি’র মহাসচিব হিসেবে দেখার দাবী জানান। বক্তারা বলেন, আজকের কেরানীগঞ্জের রূপকার আমান উল্লাহ আমান। তিনি চারবারের এমপি, প্রতিমন্ত্রী হয়ে কেরানীগঞ্জ-ঢাকা ছাড়িয়ে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন, দেশের মানুষের নেতা হয়েছেন। এজন্য ঢাকাবাসী, কেরানীগঞ্জবাসী হিসেবে আমরা গর্বিত। বক্তারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তি দূর করার দাবী এবং শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে করণীয় সম্পর্কে তার মতামত প্রত্যাশা করেন।

সভায় আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা দেশে আইনের শাসন চাই, রাতের ভোট নয়, জনগণের ভোটের সরকার চাই। তিনি বলেন, ৯০-এর আন্দোলনের সময় সারাদেশ সচল ছিলো আর ঢাকা অচল ছিলো বলেই স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। আগামী দিনের আন্দোলনে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ অচল করেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য প্রস্তুতি চলছে। তিনি দেশ ও প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভক্তি দূর করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রবাসে জনমত ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সময়ের অভাবে বড় আকারে বিএনপির সভায় যোগ দিতে পারলাম না তবে ডা. মুজিব, আব্দুল লতিফ স¤্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদের সাথে আমার কথা হয়েছে। ইনশাল্লাহ সবাই মিলেমিশেই কাজ করবেন।

নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, হতাশার কিছু নেই, স্বৈচারের পতন হবেই। দলের পরীক্ষিত নেতাদের যোগ্য স্থান দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ চলছে। এখন দরকার দলীয় নেতা-কর্মী সকলের ঐক্য। তিনি বলেন, ৯০-এ আমান ভাইয়ের নেতৃত্বে দেশের ছাত্র সমাজ এরশাদ পতনের আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছে, সেই পরীক্ষিত নেতা আমান ভাইয়ের নেতৃত্বেই আমরা ঢাকাকে অচল করে দিয়ে ভোট বিহীন হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবো। ছবি: ইউএনএ

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.