ঈশ্বরদীতে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমালের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে ভাংচুর, মারপিট, লুটপাট ও ব্যর্থ জবরদখলের অভিযোগ !

0

ঈশ্বরদী, পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পুত্র উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের বিরুদ্ধে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, নারীকে পিটিয়ে আহত করা, লুটপাট ও ব্যর্থ জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ক্ষতিগ্রস্তরা ঈশ্বরদী থানাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌরসভা সংলগ্ন দরিনরিচা এলাকায় সাড়ে ৯ শতাংশ জমির উপর স্থানীয় বাসিন্দা হায়দার আলী ও তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন বৃদ্ধ মা ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ওই বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলাকালে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পুত্র উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম রাফী , শরিফ, মাসুম, রুটি শাহীন, জলিল, তৈয়ব, আরাফাত ওরফে ইথার, উচ্ছাস, ইমরান, শাকিল, আফরোজাসহ বেশ কয়েকজন লাঠিসোঠা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে বাড়ির সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজসহ নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়। এ সময় তারা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে নারী পুরুষকে মারপিট করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

যাবার সময়ে ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ টাকা ও গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের মারপিটে আম্বিয়া খাতুন চম্পা (৪৮), আলেয়া খাতুন (৭০), রোজিনা খাতুন (৪৫), আশরাফ আলীকে (৩৪) মারপিট করে। এরা স্থানীয় ভাবে ও পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বসতঘরে ভাংচুর করা হয়েছে। হামলার শিকার পরিবারের লোকজন আতংক আর উৎকণ্ঠা এবং তমাল বাহিনীর ভয়ে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।

হায়দার আলীর ছেলে বিশাল জানান, প্রয়াত মন্ত্রীর ছেলে যুবলীগ নেতা শিরহান শরিফ তমাল আমাকে ডেকে বলেন ‘তোমার বাড়িটা আমার প্রয়োজন। ওটা আমাকে দিয়ে দাও।’ আমি বা আমার পরিবারের লোকজন তার কথায় রাজি না হওয়ায় সে তার বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, মারপিট ও লুটপাট চালিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।

রোজিনা খাতুন বলেন, আমার বাড়িটা সাড়ে আটবিঘার দাগের উপর। তার বাবার সময়ে কাগজপত্র জাল দলিল করে অধিকাংশ জমি নিজেদের করে নিয়েছে। আমাদের উচ্ছেদের জন্য কোর্টে মামলা করে হেরে যাওয়ার পর আমাদেরকে বাড়িতে থেকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের বাড়ি ছাড়তে চাই না। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আইনী সহায়তা চাই।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আর ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) অরবিন্দ জানান, লিখিত অভিযোগ নিয়ে হামলার শিকার পরিবারের লোকজন এসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.