নবীনগরে রাতের আঁধারে ইউএনও”র ত্রান বিতরণ

0

জালাল উদ্দিন মনির, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম এড়াতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিন মজুর,প্রতিবন্ধী,ক্যান্সারে আক্রান্ত, কৃষক, দরিদ্রও নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে গিয়ে রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে নগদ অর্থ ও খাবার পৌছে দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিন অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ৭০ টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সহ ১৫ কেজি ওজনের একটি করে প্যাকেট সহ নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

জানা যায়, নবীনগর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক দিনের বেলায় প্রশাসনিক কাজ শেষে গভীর রাতে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেরিয়ে পরেন ছিন্নমূল, রোগাক্রান্ত, অসহায় মানুষদের খোঁজে। বুধবার রাতে উপজেলার দক্ষিন অঞ্চলে খোঁজ পেলেন সাতজন অসহায় মানুষের, যারা মরন ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শায়িত। ওই রাতেই খবর পাওয়া যায় ছয়জন প্রতিবন্ধীর। যারা এই লকডাউনে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। নগদ আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গভীর রাতেই ছুটে যান ওই রোগীদের বাড়িতে।

কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়ে ফসল নষ্ট হয়ে অনেক দরিদ্র কৃষক ও অসহায় পবিবারগুলো খোঁজে বের করে আর্ধিক সহযোগিতার পাশাপাশি নিয়ে গেলেন খাদ্য সামগ্রী। এভাবেই বিভিন্ন গ্রামের ৭০ টি বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে কেটে গেছে ইউএনও”র বুধবারের অর্ধেক রাত। ইউএনও’র এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে ভূয়শী প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী। ইউএনও একরামুল ছিদ্দিক বলেন, ছিন্নমূল, রোগাক্রান্ত, অসহায় মানুষদের পাশে নিজের সাধ্যমত নগদ আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওদের বাড়িতে পৌছালাম। এত রাতে ৭০ টি বাড়িতে ত্রান সামগ্রী বিতরনে পরিশ্রম হয়েছে,কিন্তু ক্ষুদ্র এই সহযোগীতা পাওয়া মানুষগুলোর মুখের এই অকৃত্রিম হাসিটা যেন পৃথিবীর সকল সুখ কেও হার মানাবে। তাদের হাসির কাছে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.