নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনা বিস্তার রোধে দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের সহায়তার জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এসব প্যাকেজের আওতায় ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৬ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ-পরিবহন শ্রমিককে জনপ্রতি নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সে হিসাবে ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন উপকারভোগীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৫৯ কোটি টাকা।

পাশাপাশি শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের আওতায় ২০ হাজার টন চাল ও ১৪ হাজার টন আটা বিতরণ করা হবে। ৩৩৩ ফোন নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমের অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে এর আগে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। এবার এ খাতে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কের জন্য কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এর আগে, অর্থনীতিতে মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় ২৩টি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এতে মোট অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হচ্ছে। এরপর ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.