৫ হাজার সেতুর কাজ চলছে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সেতু নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করেছে। এলজিইডির প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় ৫ হাজার সেতু নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রশস্ত করা হবে ৫ হাজার মিটার। প্রতিস্থাপন করা হবে ১০ হাজার মিটার এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে আরো ১০ হাজার মিটার সেতু। ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন ছোটবড় প্রায় ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কের ওপরে ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি সেতু। একটির নাম রংমেহের সেতু, অন্যটি সাদুল্যা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেছে এলজিইডি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন ইনকিলাবকে বলেন, এলজিইডির প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পের মাধ্যমে ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় ৫ হাজার সেতু নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রশস্ত করা হবে ৫ হাজার মিটার। প্রতিস্থাপন করা হবে ১০ হাজার মিটার এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে আরো ১০ হাজার মিটার সেতু। ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন ছোটবড় প্রায় ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ৬১টি জেলায় প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেসের আওতায় রয়েছে দেশের ৪৬৬টি উপজেলা। এসব উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার সেতু ছোট বড় সংস্কার ও নতুন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সংস্কার করা হবে ৮৫ হাজার মিটার। যার মধ্যে ছোট সংস্কার (মাইনর মেইনটেনেন্স) ৬০ হাজার মিটার এবং বড় সংস্কার (মেজর মেইনটেনেন্স) ২৫ হাজার মিটার। পুনর্বাসন করা হবে ২৪ হাজার মিটার। এ ছাড়া যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রশস্ত করা হবে ৫ হাজার মিটার। প্রতিস্থাপন করা হবে ১০ হাজার মিটার এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে আরো ১০ হাজার মিটার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ জেলায় ৪১৮টি সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর বেশিরভাগই ছোট বড় (মাইনর ও মেজর মেইনটেনেন্স) সংস্কার কাজ। এ প্রকল্পের আওতায় মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার হাসাইল সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন ছোটবড় প্রায় ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কের উপরে ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি সেতু। একটির নাম রংমেহের সেতু, অন্যটি সাদুল্যা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেছে এলজিইডি। একই সড়কে সাদুল্যা সেতুটিও ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যের। এটিও মাইনর মেইনটেনেন্স বা ছোট আকারে মেরামত করা হয়েছে।
এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা মেনে সারা দেশেই আমাদের প্রকল্পের কাজ চলছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা কাজ করছে। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা আছে। মুখে মাস্ক পরে শ্রমিকরা কাজ করছে। তিনি জানান, মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের জন্য প্রকল্প এলাকায় পৃথক বাথরুমের ব্যবস্থা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সেতু তৈরী বা সংস্কারের সময় পরিবেশ দূষণরোধে দিনে-রাতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা আছে।
সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্প মুন্সিগঞ্জের ফিল্ড রেসিডেন্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ার মহসিন জামান ইনকিলাবকে বলেন, টঙ্গিবাড়ি উপজেলায় ৮টি সেতুর ছোট বড় সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি বলেন, সংস্কার কাজের জন্য বিকল্প রাস্তার প্রয়োজন হয় না। এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য লোক নিয়োগ করা থাকে। পরিবেশ দূষণে প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান।
রংমেহের তিনরাস্তা মোড়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরও সেতু দুটি ভেঙ-চুরে একাকার ছিল। রেলিং ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। গত নভেম্বরে সেতু দুটি মেরামত সিংহভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন অবাধে যান চলাচল করছে।