পরমাণু শক্তির জন-গ্রহণযোগ্যতায় স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ত আলোচনা গুরুত্বপূর্ণঃ ওয়ার্কশপে বিশেষজ্ঞরা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : “জনগণের মাঝে পরমাণু শক্তির চাহিদাঃ জীবনমান উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তির ভূমিকা” শীর্ষক এক ওয়ার্কশপে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বক্তারা পরমাণু প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং এতদ্বসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কম্যুনিকেশন্সের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠানরত এক্সপো-২০২০ ভেন্যুতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আলেক্সান্ডার ভারণকভ, প্রধান নির্বাহী রসাটম- মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা তার বক্তব্যে বলেন, “পরমাণু সেক্টরে কার্যকরী কম্যুনিকেশন্স বা যোগাযোগের জন্য স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ত আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে স্পর্শকাতর বিষয়ে সঠিক তথ্য সরবরাহ এবং পরমাণু শক্তি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূরীকরণ নিশ্চিত করা যায়”।

ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এসোসিয়েশনের মহাপরিচালক স্যামা বিলবাও-ওয়াই-লিওনের মতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নির্ভরযোগ্য ও দূষণমূক্ত বিদ্যুতের প্রাপ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। “এটা শুধু মেডিক্যাল সুবিধার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শিশুদের জীবন রক্ষা, নিরাপদ পানীয় জল এবং খাদ্য সুরক্ষাও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত”।

আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার কম্যুনিকেশন, আউটরীচ এন্ড স্টেকহোল্ডার ইনভল্ভমেন্ট অফিসার জেফরী ডনোভান জানান যে সংস্থাটি একটি নতুন গাইড প্রকাশ করেছে, যাতে বিভিন্ন নিউক্লিয়ার বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কার্যকরীভাবে সম্পৃক্ত করার তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক পরামর্শ সংকলিত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ নিউক্লিয়ার এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কৃশ্চিয়ান ভেগা তার একটি প্রেজেন্টেশনে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং সম্ভাব্য সমাধানও প্রদান করেন। তিনি, পরমাণু শক্তির সাহায্যে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কী ভূমিকা রাখতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।

রসাটম সেন্ট্রাল এন্ড সাউথ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী রায়ান কলার জানান যে রসাটমের মূল লক্ষ্য হলো পারমাণবিক প্রযুক্তির সুবিধা সম্পর্কে নিজেকে, সাথীদের এবং বয়ঃজ্যেষ্ঠদের শিক্ষিত করে তুলতে যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করা এবং একইসঙ্গে নিজস্ব দেশ ও কম্যুনিটিকে সহায়তা করতে সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসতে উৎসাহ যোগানো। “জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুবসমাজ দরকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে রসাটম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। যুবসমাজকে তাদের প্রতিভা বিকাশে, বিভিন্ন ধারণা ও চিন্তাভাবনা শেয়ারের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করতে আমরা যথেষ্ট সচেষ্ট”।

দুবাই এক্সপো চলাকালে রসাটম সপ্তাহ পালনের অংশ হিসেবে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পুরো সপ্তাহ জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা পরমাণু প্রযুক্তির সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করেন। পরমাণু প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের জীবন মান উন্নয়নে এবং সমাজের দীর্ঘস্থায়ী কল্যান সাধনে সহায়ক হতে পারে তার বেশ ক’টি বাস্তব উদাহরণও তুলে ধরা হয়।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.