বান্দরবানে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান

0

রিমন পালিত:বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান। পার্বত্য জেলা বান্দরবান প্রথমবারের মতো ৩ হেক্টর জমিতে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই ধান চাষ করা হয়। আর এ ধান চাষ করে ব্যাপক ভালো ফসল পেয়েছে বান্দরবানের কৃষকরা।

পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এই ধান বান্দরবানে চাষাবাদ করা হলেও এ ধানের ফসল দেখে বর্তমানে এ ধান চাষ করতে আগ্রহী বান্দরবানের উদালবনিয়া এলাকার গ্রামবাসী ।

এই ধানের একটি বিশেষত্ব হলো এ জাতের ধানে রোগবালাই কম। পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করার ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চফলনশীল একটি জাত। অন্য যেকোনো জিঙ্ক জাতের চেয়ে উৎপাদন বেশি ও কম সময়ে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করেছে যার ফলে বর্তমানে এর সুফল পাচ্ছে বান্দরবানের কৃষকরা।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’-এর জীবনকাল ১৪৮ দিন, ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পাতার রং সবুজ, পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ১০১ সেন্টিমিটার (মাঝারি)। এ জাতের ধানে রোগবালাই কম, পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করার ক্ষমতাসম্পন্ন, জিঙ্কের পরিমাণ বেশি, কম সময়ে উচ্চফলনশীল জাত।

বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের উৎপাদনের সফলতা সম্পর্কে কথা বলতে সরাসরি সরোজমিনে উদালবনিয়া গ্রামে উপস্থিত হলে কৃষক উমেচিং মারমা জানান আমি অনেক ধান চাষ আবাদ করেছি কিন্তু এইবার ৩ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু জাতির চাষাবাদ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি । আর এজন্য আমি কৃষি-সম্প্রসারণ-অধিদপ্তর কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা আমাদেরকে নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। এবছর আমি এই ধান বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হব। কৃষি বিভাগ সার, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে এই ধান উৎপাদনে ।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুলুমং মারমার সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান উদালবনিয়ায় এবার প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক তিন বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করেছে কৃষকরা আর তাতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে কৃষক। বর্তমানে অন্যান্য কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী।

কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান এ ধানের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭ টন উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যা পেলে
হেক্টরপ্রতি ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে, যা অন্যান্য জাতের তুলনায় উচ্চফলনশীলচাল মাঝারি, চিকন ও সাদা জিঙ্কের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রামচালে অ্যামাইলোজ ২৬ দশমিক ৮শতাংশ এবং প্রোটিন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পার্বত্য জেলা বান্দরবান এই ধান যেভাবে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে ভবিষ্যতে কৃষকরা এই ধানকে আরে ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে আগ্রহী।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.