“স্বাস্থ্যখাতে সুশাসন: বর্তমান অবস্থা, সুযোগ, চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণ – স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক গোলটেবিল সংলাপ
নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর উদ্যোগে ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গত ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার অনুষ্ঠিত হলো “স্বাস্থ্যখাতে সুশাসন: বর্তমান অবস্থা, সুযোগ, চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক গোলটেবিল সংলাপ।
ঢাকার দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত উক্ত সংলাপে নাগরিক সমাজ সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, ঢাকাসহ মোট ৭টি জেলার গণমাধ্যমকর্মী, জাতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ-সম্পাদক ও সাংবাদিক সহ মোট ৪৫ জন উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যম গুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার ও সুষ্ঠু প্রতিবেদন প্রকাশে একটি ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনায় সুশাসনকে শক্তিশালী করাই ছিলো উক্ত সংলাপের উদ্দেশ্য। আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ; দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক জনাব আইনি ইসলাম; প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জনাব জাফর ওয়াজেদ; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ এম এম আকতারুজ্জামান ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ রাহাত ইকবাল চৌধুরি; বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি
কমিশন এর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালাইড সায়েন্সেস্ধসঢ়; (নিনমাস) এর পরিচালক ডাঃ শামীম মমতাজ ফেরদৌসি বেগম; প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক জনাব সোহরাব হাসান; দৈনিক ইত্তেফাকের ডিপ্লোম্যাটিক এ্যাফেয়ার্স এর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম- সচিব জনাব মাঈনুল আলম; নাগরিক টিভি’র প্রধান প্রতিবেদক জনাব শাহনাজ শারমীন; দৈনিক বাংলা’র প্রধান প্রতিবেদক জনাব মোর্শেদ নোমান; চ্যানেল আই এর বিশেষ প্রতিবেদক জনাব জান্নাতুল বাকেয়া কেকা; নিউজ ২৪ এর প্রধান বার্তা সম্পাদক জনাব শাহনাজ মুন্নী এবং দৈনিক আমাদের সময়- এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশ হেল্ধসঢ়;থ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট জনাব এম এম রাশেদ রাব্বি সহ আরো অনেকে। এছাড়াও মাছরাঙা টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাভিশন, এনটিভি, দৈনিক ইত্তেফাক সহ অন্যান্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত দায়িত্বশীল সাংবাদিকগণ তাঁদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
সংলাপের শুরুতে সঞ্চালক জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল (টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) সংলাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিয়ে তাঁর স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ও পরিচয়পর্ব পরিচালনা করেন। সভার মূল উপস্থাপনা পরিবেশন করেন বিএনএনআরসি’র পরামর্শক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জনাব রেহান উদ্দিন আহমেদ রাজু। এরপর মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল। সম্মানিত আলোচকগণ মুক্ত আলোচনায় স¦তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য- সেবা বিষয়ে তাঁদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। বহুমাত্রিক অংশীজনদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সেমিনার এর অর্জন, ফলাফল ও সার-সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন রংপুর, নোয়াখালী, সিলেট, যশোর, বরিশাল ও পাবনা জেলার সংবাদ প্রতিনিধিগণ। দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ও বিএনএনআরসি’র উদ্যোগে বাস্তবায়িত “প্রমোটিং হেলথ গভর্নেন্স থ্রু ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব জার্নালিস্ট এ্যান্ড ইনভলভিং মাল্টিলেভেল স্টেইকহোল্ডারস” প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান। তিনি বলেন, “আমরা ২৫ জন স্বাস্থ্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ করিয়েছি এবং ৪ টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণে ৮৫ জন সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য প্রতিবেদন তৈরিতে সত্যতা যাচাই ও নিরূপণ কৌশল সম্পর্কে আরো সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরির ধারণা প্রদান করা হয়েছে। জেলা ও
বিভাগীয় পর্যায়ে ৬টি সেমিনার শেষ হয়েছে। তাছাড়াও এই উদ্যোগের আওতায় ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরের ৫০ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার স্বাস্থ্য সাংবাদিক অথবা স্বাস্থ্য বিষয়ে ইনডেপথ প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম করার জন্য এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। ফেলোশিপের আওতায় ২০০ টি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা, সুযোগ, চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। আবার সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিদ্যমান সুযোগসমূহ কিভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া যায় সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।” দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এ সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন যে, যেসব বিষয়ে সরাসরি জনসাধারণ জড়িত বা যুক্ত, সেসব
জায়গায় তথ্য ও সংবেদনশীলতার ভারসাম্য রক্ষা করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কঠিন। আর সাংবাদিকগণ এই কঠিন কাজটিই নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করেন। তিনি মনে করেন, সাংবাদিকতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সমানভাবে জরুরি।
প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জনাব জাফর ওয়াজেদ বলেন, “এটা আসলেই উৎসাহব্যঞ্জক যে, স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সংবাদ মাধ্যমে এতো কাজ করা যায়। করোনার কারণে যদিও ছাপানো সংবাদপত্র অনেক পাঠক হারিয়েছে – এর পেছনের কারণও কিন্তু মূলত ভুল তথ্য প্রচার। সংবাদপদের কাগজ থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়ায় না – এটা এখন জানা গেলেও আগের পাঠকরা ততোদিনে অনলাইন বা অন্য কোন মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে; তাতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অন্য সবকিছু অনেক বদলে দিয়েছে।” স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ রাহাত ইকবাল চৌধুরি বলেন, “উপজেলা গুলোর অসংক্রামক ব্যাধি কর্ণারে রোগ নির্ণয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার (স্ক্রিনিং ও ডায়াগনোসিস) ব্যাবস্থা আছে। উচ্চ রক্তচাপ মাপার ডিজিটাল মেশিন আছে, যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্তচাপ মাপা যায়, কোন ডাক্তারের উপস্থিতি ছাড়াই। তবে এ কার্যক্রম আরো সফল ও ব্যাপকভাবে করার জন্য প্রয়োজন বাজেট ১৫-১৬ গুণ বাড়ানো। জনবল সঙ্কটও আরেকটি প্রতিবন্ধকতা। তারপরও অসংক্রামক ব্যাধি কর্ণারের স্বাস্থ্য-সেবা নিয়ে জনগণ সন্তুষ্ট।”
এর পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চালক জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন যে, বর্তমানে ২০০ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু আছে – যা অনেকেই জানেনা; সাংবাদিকদের কর্তব্য এটা সঠিকভাবে প্রচার করা এবং এ কর্ণার গুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা – সেটাও যাচাই করা।
বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন এর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালাইড সায়েন্সেস্ধসঢ়; (নিনমাস) এর পরিচালক ডাঃ শামীম মমতাজ ফেরদৌসি বেগম বলেন, “আমরা নিজেদের শুদ্ধাচার চর্চার ওপর এটমিক এনার্জি কমিশন এ বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করি। আন্তর্জাতিক মানের গুণগত সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি আমরা। এখানে ডায়াগনোসিস, থেরাপি ও গবেষণার কাজ
হয়।” প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন যে, যেহেতু প্রতিটি জায়গার সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন, তাই স্থানীয় সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করাই সবচে’ বেশি কার্যকরী। নিউজ ২৪ এর প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী বলেন, “স্বাস্থ্য-সেবায় অনেক অংশীজন বা স্টেইকহোল্ডার জড়িত; যেমন – চিকিৎসক, নার্স, কর্তৃপক্ষ, এম্ব্যুলেন্স চালক, হাসপাতালের অন্যান্য কর্মী; আরো অনেকে। সেবাগ্রহীতার মধ্যেও নানান ধরণ আছে – পুরুষ, নারী, শিশু, বৃদ্ধ, ধনী, গরীব ইত্যাদি।
ফলে এটা কার্যকরী হওয়ার বা না হওয়ার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অনেকে জড়িত থাকে। জনবল স্বল্পতা, হয়রানি, দীর্ঘসূত্রিতা, অকেজো মেশিন বা যন্ত্রপাতির অভিযোগ ঘুরেফিরেই আসে বারবার। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এই সিস্টেমটাকে প্রশ্ন করা খুব জরুরি। পুনরাবৃত্তি মনে হলেও প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, নয়তো সমাধান হবে না কখনোই। ছোট হোক বা বড়, সরকারের যেকোন উদ্যোগের কথা
সাংবাদিকরা যেন জানতে ও জানাতে পারে এবং প্রয়োজনে যেন প্রশ্নও করে।” দৈনিক বাংলা’র প্রধান প্রতিবেদক জনাব মোর্শেদ নোমান বলেন, “সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিএনএনআরসি বড় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বেশকিছু ইতিবাচক
পরিবর্তন সম্পর্কে জানা গেছে ফেলোদের করা প্রতিবেদন থেকে, বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদদাতাদের তৈরি করা রিপোর্ট থেকে।”
নাগরিক টিভি’র প্রধান প্রতিবেদক জনাব শাহনাজ শারমীন বলেন, “প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রায়ই অনেক প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয়। চিকিৎসা একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। আমাদের ছোট দেশ, মানুষ বেশি, সম্পদ কম; সুতরাং আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। আমরা সঠিক তথ্য পেলে স্বাস্থ্যখাতে সুশাসনও নিশ্চিত হবে।” চ্যানেল আই এর বিশেষ প্রতিবেদক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা বলেন, “এখানে অবকাঠামো ভালো
হলেও পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব। এছাড়াও আছে ডাক্তারদের রাজনীতি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে একজন ডাক্তার একইসাথে শিক্ষক ও চিকিৎসক – দুই ভুমিকা পালন করছেন। রোগী-সংখ্যার চাপ কম হলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগণ শুধু গবেষণা ও শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত থাকতে পারতেন, সেবার মান ব্যাহত হতো না।”
দৈনিক ইত্তেফাকের ডিপ্লোম্যাটিক এ্যাফেয়ার্স এর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সচিব মাঈনুল আলম স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে উচ্চ খরচ এবং রোগ-নির্ণয় ও সঠিক পরামর্শে চিকিৎসকের গাফলতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, অনিয়ম বন্ধ করতে সরকারি প্রশাসনের সক্রিয় হতে হবে; তবেই আসবে স্বাস্থ্য-প্রশাসনে সুশাসন। দৈনিক আমাদের সময়- এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের
প্রেসিডেন্ট জনাব এম এম রাশেদ রাব্বি বলেন, “এনসিডি স্বাস্থ্য কর্ণারের (অসংক্রামক ব্যাধি কর্ণার) কথাটি শুধু লিখা পাওয়া গেলেও কাজে আসলে নেই। বড় কর্মকর্তারা হয়তো জানেনও না যে, সেখানে আদৌ কতটুকু কাজ হয়। ছোটখাটো অসুখেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়ার একটি প্রবণতা আছে মানুষের মধ্যে। ফলে নামকরা ডাক্তাররা অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকেন ও সেবার মান
বিঘ্নিত হয়। ”
এনটিভি’র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জনাব এ.এস.এম আতিকুর রহমান বলেন, “এ ধরনের আলোচনায় অনেকভাবে অনেক উপকৃত হই আমি। তবে বক্তাদের বক্তব্যে উল্লেখিত তথ্যগুলো লিখিত আকারে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আমরা এগুলো কাজে লাগাতে পারতাম।” মাছরাঙা টেলিভিশন এর স্টাফ রিপোর্টার জনাব মোস্তফা মোজাম্মেল মাহমুদ (মাহমুদ কমল) বলেন যে, বলা হলেও মূলত প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে আইসিইউ সত্যিই আছে কিনা – এটা দেখতে হবে। চিকিৎসা খরচ এদেশে অনেক মানুষকেই পথে বসিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে সঞ্চালক জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন যে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেবা – এ দুয়ের সমন্বয় প্রয়োজন। সিলেট জেলা প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ও জাগোনিউজ২৪ডটকম এর নিজস্ব প্রতিবেদক ছামির মাহমুদ বলেন, “সরকারি হাসপাতাল গুলোর অকেজো মেশিনের কথা কমবেশি সবারই জানা। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৫০০ থেকে ৯০০ তে উন্নীত করা হয়, যেখানে রোগী আসে গড়ে ১৭০০
থেকে ১৮০০ জন। পর্যাপ্ত ঔষধ নেই, যা দেওয়ার কথা, তার চেয়ে কম দেওয়া হয়। যেখানে বিনামূল্যে এন্টিবায়োটিক ঔষধ দেয়ার কথা; সেখানে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে ৭ দিন খাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও ঔষধ দেয়া হয় মাত্র ২ দিনের। উচ্চমূল্যে বাজার থেকে এই ঔষধ রোগীরা কিনতে পারেনা; ফলে ২ দিনের পর আর ঔষধ খেতেও পারেনা। এর স্বাস্থ্যগত ফলাফল আরো ক্ষতিকর হয়।” বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন (বরিশাল) এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কর্মী জনাব শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, “স্বাস্থ্য-সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয়করণ করা উচিৎ। আমার মতে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অধিকাংশ প্রচারে আতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে বাণিজ্যিক কারণ থাকে।”
বাংলাভিশন টেলিভিশনের রংপুর প্রতিনিধি জনাব জুয়েল আহমেদ বলেন, “রংপুরের মানুষ সরল হওয়ায় কোভিডের সময়ও অবহেলিত হয়েছে।”
দৈনিক ইত্তেফাক, যশোর কার্যালয়ের স্টাফ রিপোর্টার জনাব আহমেদ সাঈদ বুলবুল তাঁর নিজের করা স্বাস্থ্য-প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেছেন। আরো জানিয়েছেন হাসপাতালে চলমান নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা। বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ফয়জুল ইসলাম জাহান বলেন, “নোয়াখালী একটি হাসপাতালের শহর। তবে এতো এতো হাসপাতালে সেবাদান উদ্দেশ্য হলেও বাণিজ্যই মুখ্য হয়ে উঠেছে।” তিনি নোয়াখালীর সাপ্তাহিক গণশুনানি সম্পর্কে বলেন এবং এতে বিএনএনআরসি’র এই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টতার কথা জানান।
পাবনা ধেকে আগত দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জনাব প্রবীর কুমার সাহা বলেন যে, এই প্রকল্পের ফেলোশিপের আওতায় করা তাঁর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পাবনা মানসিক হাসপাতালের জনপ্রতি দৈনিক খাবার-ব্যয় ১২৫ টাকা ধেকে ১৭৫ টাকায় উন্নীত করা হয়। গত ২০ বছর ধরেই সেখানের জনবল সঙ্কট ও অন্যান্য সাধারণ সমস্যা এখনো অমীমাংসীতই রয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে, উক্ত গোলটেবিল সংলাপের আলোচনার ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর গঠনমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ বা সম্প্রচারে সংবাদ সম্পাদক ও সাংবাদিকদের উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে সবার জন্য গুণগত ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। পাশাপাশি, উত্থাপিত বিষয় সমূহ স্বাস্থ্যসেবার সমস্যাগুলোর ওপর আরও কার্যকর প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে অন্যান্য সুশীল সমাজ সংস্থা এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করবে।
সঞ্চালক জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল মনে করেন, অন্যান্য বিশেষায়িত সাংবাদিকের মতো স্বাস্থ্য-বিটেও যদি বিশেষায়িত সাংবাদিক হয়ে ওঠা যায়, তখনই দেশের স্বাস্থ্য-খাতে সাংবাদিকগণের অবদান জোরালো হবে। তিনি আশা রাখেন যে, অচিরেই সংবাদ মাধ্যমে স্বাস্থ্য-খাতে
বিশেষায়িত সাংবাদিক গড়ে উঠবেন। উল্লেখ্য, বিএনএনআরসি একটি গণমাধ্যম উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা যা ২০০০ সালে আত্মপ্রকাশ করে
এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধিত হয়। বিএনএনআরসির কর্মপ্রচেষ্টা হলো বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু উভয় বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের উন্নয়ন । বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট এর ভূমিকায় আঞ্চলিক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে থাকে। এটি জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ও জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল এর বিশেষ পরামর্শক মর্যাদাপ্রাপ্ত সংস্থা এবং জাতিসংঘের ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার- ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ এর বিজয়ী এবং চ্যাম্পিয়ন।
A Round-Table Dialogue entitled “Strengthening Governance in Health Sector: Present Status, Opportunities, Challenges & Way Forward – The Role of Health Journalists” was held on 04 January2023, Wednesday, in Dhaka organized by Bangladesh NGO’s Network for Radio and Communication (BNNRC), and supported by The Asia Foundation.This program is a part of the project: “Promoting Health Governance through Capacity Building of Journalists and Involving Multi-level Stakeholders”.
A total of 45 participants including representatives of civil society organizations, government officials, news editors, journalists from Dhaka and outside of Dhaka were present in the dialogue organized in The Daily Star Bhaban, Dhaka.
The objective of the dialogue is to create a positive atmosphere in media houses for reporting on health connected issues and thus to strengthen governance in health sector. Among the honorable guests and participants, the Director General of Press Institute of Bangladesh (PIB) Mr. Zafar Wazed; the Director & Head of PET-CT; National Institute of Nuclear Medicine & Allied Science, BSMMU (NINMAS) Dr. Shamim Momtaz Ferdousi Begum; The Country Representative of The Asia Foundation Mr. Kazi Faisal Bin Seraj; the Director of Program Development at The Asia Foundation Ms. Ainee Islam; the Senior Program Manager of The Asia Foundation Mr. MD. Zakaria; Program Manager (Lymphatic Filariasis & STH & LD) of Directorate General of Health Services (DGHS) Dr. M. M. Aktaruzzaman; Deputy Program Manager (NCDC)-6 of DGHS – Dr. Rahat Iqbal Chowdhury; representatives of journalists from Sylhet, Jashore, Barishal, Pabna, Noakhali and Rangpur; and the journalists of reputed newspapers, television and online media delivered their short speeches.
The President of Bangladesh Health Reporters’ Forum Mr. M. M. Rashed Rabbi of the Daily Amader Somoy; Joint Editor of Daily Prothom Alo Mr. Sohrab Hassan, City Editor of Bangladesh Sangbad Sangstha (BSS) Mr. Kanai Chakraborty; Editor (Diplomatic Affairs) of Daily Ittefaq and Joint Secretary of National Press Club Mr. Mainul Alam; Chief Reporter of Nagorik TV Ms. Shahnaz Sharmeen; Ms. Zannatul Bakiya Keka of Channel-I; Mr. Mahmud Komol of Maasranga Television; Chief News Editor of News24 Ms. Shahnaz Munni & others also talked about some important points relevant to the subject of the session.
Also, Ms. Afrin Jahan from Bangladesh Television (BTV),Mr. A. S. M. Atiqur Rahman from NTV, Mr. Ziaul Hoque Sabuj from Banglavision, Mr. Akramul Hoque Sayem from ATN Bangla, Ms. Swapna Chokroborty from The Daily Janakantho, Mr. Moudud Ahmmed Sujan from Daily Star, Mr. Borun Kumar dash from Bangladesh Sangbad Sangstha (BSS), Ms. Joysree Bhadury from Bangladesh Pratidin, Ms. Labony Guha Roy from Boishakhi TV, Ms. Kamrun nahar Shova from The Business Standard and other journalists were present at the session.
The Editor in Chief & the Chief Executive Officer of TV Today Mr. Monjurul Ahsan Bulbul moderated the whole session.At the beginning of the seminar, he introduced the participants of the seminar and presented his welcome speech giving an idea about the content of the dialogue and conducted the introduction session. He said that we can see some real pictures of the field level through the representatives of six districts. He also expressed his expectation that if some specialized health-journalists can be emerged, who will be dedicated to cover the health-bit only then these kinds of discussion will succeed and will reach the target.
Then Mr. AHM Bazlur Rahman, Chief Executive Officer of BNNRC, said that the purpose of today’s dialogue is to discuss the Present Status of Health Services, Opportunities, Challenges and Way Forward to improve the capacity of the health sector. He said, “Under this initiative, we have provided 25 health journalists (ToT) Training of Trainers and 85 journalists in 4 regional trainings have been given ideas on fact-checking and evaluation techniques in health reporting. 6 seminars have been completed at the district and divisional levels. Moreover, under this initiative, 50 Health Journalists of print, electronic and online media in Dhaka and outside of Dhaka have been awarded to enable them to produce in-depth reports on health issues. 200 reports are being prepared under the fellowship.”
Public health expert and consultant Mr. Rehan Uddin Ahmed Raju presented the informative keynote paper on the topic and the project. After the presentation of the keynote, the participants took part in a lively open discussion and provided their valuable opinions and suggestions on the health issues.
The Country Representative of The Asia Foundation Mr. Kazi Faisal Bin Seraj conveyed his greetings to all the participants and said, “Balancing between sensitivity and information is very much important in public dealing; and the journalists accomplish this difficult task.”
Mr. Zafar Wazed, Director General of Press Institute Bangladesh, said, “It is really encouraging that so much work can be done in the media even in the health sector. Although printed newspapers have lost a lot of readers due to Corona – the reason behind this was mainly misinformation. Newspapers don’t spread the corona virus – this is now known, but earlier readers have become dependent on online or other media by then; even though after the corona situation gets normal, everything else has changed a lot.”
Dr. Rahat Iqbal Chowdhury, Deputy Program Manager (Non-Communicable Disease Control) of the Department of Health said, “There is a screening and diagnosis system in the non-communicable disease corner of the districts. There are digital blood pressure measuring machines, which can measure blood pressure automatically, without the presence of a doctor. However, the budget needs to be increased 15-16 times to make this program more successful and extensive. Manpower crunch is another hurdle.Still, people are satisfied with health-care service in the non-communicable disease corner.”
In view of this, the moderator Mr. Monjurul Ahsan Bulbul said that this program is currently running in 200 upazilas – which many people do not know accurately about this service; so,it is now the duty of the journalists to promote it properly and to verify whether the activities of these corners are being conducted properly.
Bangladesh Atomic Energy Commission’s National Institute of Nuclear Medicine and Allied Sciences (NINMAS) Director Dr. Shamim Momtaz Ferdousi Begum said, “We submit an annual report to the Atomic Energy Commission on our integrity practices. We try to ensure quality service of international standards. Diagnosis, therapy and research are done in our institute.”
Mr. Sohrab Hasan, Joint Editor of the daily Prothom Alo said that since the problems of each region are different, it is most effective to involve the local people in solving local problems.
Ms. Shahnaz Munni, Chief News Editor of News24 said, “Many stakeholders are involved in health services; for example – doctors, nurses, authorities, ambulance drivers, other hospital staffs; and so on.There are different types of service recipients too – men, women, children, old people, rich, poor etc. As a result, many people are directly and indirectly involved in its effectiveness. Complaints about shortage of manpower, harassment, procrastination, unusable machines or equipment come up again and again.So it is very important for journalists to question the system. Even if it seems repetitive, the questions must be raised, or else they will never be resolved. Journalists should be able to know and inform about any initiative of the government, be it small or big, and at the same time, they should also ask questions if necessary.”
Mr. Morshed Noman, Chief Reporter of Dainik Bangla, said, “BNNRC has played a significant role in providing training for journalists. A number of positive changes in the health sector have been reflected through fellows’ reports, particularly from local level correspondents.”
Ms. Shahnaz Sharmeen, Chief Reporter of Nagrik TV said, “There are many obstacles to overcome for collecting information for reporting. Health Treatment is an integrated process. In a small country, there are more people and less resources; so, our limitations are many. If we get the right information, good governance in the health sector will also be ensured.”
Ms. Jannatul Bakeya Keka, Special Correspondent of Channel – i said, “Although the infrastructure is good here, there is a lack of sufficient manpower.” There is also the politics of doctors. In medical college hospitals, a doctor is simultaneously playing two roles – teacher and doctor. If the patient-number pressure was less, the medical college teachers could have engaged only in research and teaching work, the quality of service would not have been disturbed.”
The Editor (Diplomatic Affairs) of Daily Ittefaq and Joint Secretary of National Press Club, Mr. Mainul Alam mentioned the high cost of healthcare and negligence of doctors in diagnosis and giving proper advice. He said that the government administration should be proactive to stop irregularities; only then the good governance in health administration will be observed.
Mr. M.M Rashed Rabi, Senior Reporter of the daily Amader Somoy and President of Bangladesh Health Reporters Forum said, “The NCD Health Corner (Non-Communicable Disease Corner) is only available in writing, but it does not actually work. Senior officials may not even know how much effective this is. Again, people tend to consult specialist doctors even for minor ailments. As a result, reputed doctors are over-busy and the quality of service is compromised. ”
Mr. ASM Atiqur Rahman, senior reporter of NTV said, “I benefited a lot from such discussions. However, if the information mentioned in the speeches of the speakers is available in written form, we could use them later.”
Mr. Mahmud Komol, staff reporter of Maasranga Television, said that although it is said that there is at least one ICU in each district – it remains to be seen. Besides,high medical expenses in this country leave many people penniless.
At this point, Mr. Monjurul Ahsan Bulbul, the moderator of the session, said that there should have coordination between infrastructural development and services provided.
After this, the local news correspondents of Rangpur, Noakhali, Sylhet, Jessore, Barisal and Pabna districts discussed the achievements, results and summary of the seminar held at the divisional level with multi-level stakeholders.
General Secretary of Sylhet District Press Club and Jagonnews24.com’s staff reporter Mr. Samir Mahmud said, “Everybody knows about the abandoned machines of government hospitals. The number of beds in Sylhet Osmani Hospital was increased from 500 to 900, whereas an average patient admission is about 1700 to 1800. There is not enough medicine, the number is less than what is supposed to be given.Where free antibiotic medicine is supposed to be given; and although the doctor’s prescription mentions to consume it for 7 days, medicine is given for only 2 days. Patients cannot buy these medicines from the market at high cost. As a result, after 2 days, s/he can no longer take medicines. Its health consequences are more harmful.”
Presidium member of Bangladesh Group Theater Federation (Barishal) and culture and development professional Mr. Shubhankar Chakraborty said, “Health care should be nationalized and centralized. In my opinion, most health campaigns have a commercial motive behind creating the alarm.”
Bangla vision Television’s Rangpur correspondent Mr. Jewel Ahmed said, “Because of the people of Rangpur are simple, they were neglected even at the time of Covid situation.”
Mr.Farazi Ahmed Sayed Bulbul, staff reporter of Daily Ittefaq, Jessore office, told about his own health reports. He also informed about various irregularities and corruption which are going on in the hospital.
Noakhali district correspondent of banglanews24.com Mr. Faizul Islam Jahan said, “Noakhali is a city of hospitals. But even though the objective is to provide health-care services, trading has become the key.” He spoke about the weekly public hearing in Noakhali and informed about the involvement of BNNRC in this project.
Mr. Prabir Kumar Saha, Pabna district correspondent of daily Kaler Kantho, said that after the publication of his report under the fellowship of this project, the daily food cost all ocation per person of Pabna Mental Hospital was increased from Tk. 125 to Tk. 175. For the past 20 years, the manpower crisis and other common problems have remained unsolved in Pabna Mental Hospital.
It is hoped that the discussion of the round table dialogue will play a helpful and effective role in encouraging news editors and journalists to publish or broadcast constructive reports on health- connected issues and consequently in this way, will draw the attention of policy makers to ensure quality healthcare for all. Besides, the issues raised will encourage other civil society organizations and development agencies to implement more effective projects on healthcare issues.Moderator Mr. Monjurul Ahsan Bulbul thinks that if one can become a specialized journalist in the health field like other specialized journalists of other sectors, then the contribution of journalists in the health sector of the country will be strong. He hopes that the media will develop specialized journalists in the health sector soon.
BNNRC is in Special Consultative Status with the Economic and Social Council (ECOSOC) accredited with World Summit on the Information Society (WSIS), SDGs Media Compact of the United Nations, and UN WSIS prize winner 2016, Champion 2017, 2019, 2020, and 2021. BNNRC’s approach to media development is both knowledge-driven and context-sensitive, and it takes into account the challenges and opportunities created by the rapidly changing media environment in the era of the Fourth Industrial Revolution.