যমুনার বুকে দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেল সেতু, খুলবে নির্ধারিত সময়ে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে যমুনা নদীর বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেতুর ৩০০ মিটার অদূরে চলছে এই নির্মাণযজ্ঞ। মোট ৫০টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪৯টি স্প্যান। ইতিমধ্যে ৩৫ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পিলারের কাজ শেষ করেছেন প্রকৌশলীরা। সম্পন্ন হয়েছে ৫৩ শতাংশ কাজ।
সেতুটির পূর্বপ্রান্তে পিলারের ওপর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুতে ভিয়েতনাম থেকে তৈরি করা ১০টি স্প্যান বসিয়ে রেলসেতু দৃশ্যমানও করেছেন তারা। ১১তম স্প্যান বসানোর কাজও চলমান। সহস্রাধিক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের তত্ত্বাবধানে চলছে সেতুর কর্মযজ্ঞ।
জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর চার দশমিক আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক দশমিক ৯ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেল চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুটি চালু হলে ডাবল লাইনে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর বিভিন্ন পর্যায়ের নির্মাণকর্মী ও কর্মকর্তারা জানান, দেশের অন্যতম বড় এই মেগা প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে খুশি তারা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সচেতনতা নিয়ে কাজ করছেন।
সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত সেতুর কাজের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। কাজের গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে রেলওয়ে সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু খুলে দেওয়া হলে মানুষের সহজ যাতায়াত যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই খুলবে উত্তর জনপদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সম্ভাবনার নানা দ্বার। আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।