সড়কের নিরাপত্তায় ৩৭৬০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

0

বিডি২৪ভিউজি ডেস্ক : ২০২৫ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৩ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আর এ লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে দেশে বিশ্বব্যাংক। সারাদেশের সড়ক নিরাপদ করতে ‘বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা’ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৭৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ দেবে সংস্থাটি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশে পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বাকি ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে। ২০২৩ সালের মে মাস হতে ২০২৮ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির মাত্রা কমানো এবং সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

প্রধান কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় ১১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ১৪০ কিলোমিটার চার লেন ও ছয় লেন সড়ক করিডোরে পাইলট ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ, অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম, টাঙ্গাইল ও বগুড়া জেলায় সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম, পেশাদার গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। প্রকল্পের আওতায় কিছু পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রকল্প সহায়তা, সওজ, বিআরটিএ, স্বাস্থ্য, পুলিশ কাজ করবে। বেসিক লাইফ সেটিং ম্যানেজমেন্ট, পরিচালনা, বাইক অ্যাম্বুলেন্স ম্যানেজমেন্ট/পরিচালনা, কল সেন্টার ও অন্যান্য সার্ভিস হার্ডওয়্যার এবং কন্ট্রোল হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার কেনা হবে। সমন্বিত ডাটাবেস সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ক্লাউড হোস্টিং ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে।

এছাড়া পাঁচটি হাইওয়ে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি কক্ষ সংস্কার কাজ , সিস্টেম লাইসেন্স, সিস্টেম সফটওয়্যারসহ সমন্বিত ডাটাবেস সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিআরটিএ ক্লাউড হোস্টিংয়ের কাজ করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানায়, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পরিবহন সেক্টরের ভিশন হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৩ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারিত আছে। এছাড়া, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ, সাশ্রয়ী, সবার জন্য প্রবেশগম্য এবং টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা বিনির্মাণের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ১৪০ কি. মি. সড়কে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের বিষয়টি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির মাত্রা কমবে। এছাড়া সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এসব বিবেচনা করেই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.