মাছ চাষ বাড়াতে নতুন প্রকল্প
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশে মাছ চাষ বাড়াতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রকল্পের নাম ‘মৎস্য চাষ ও মৎস্য খাতে আসিয়ান-বাংলাদেশের সহযোগিতা’। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য দুটি উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলন (গ্যাপ) এবং ক্লাস্টার একোয়া কালচার ফার্মিং বাস্তবায়ন (এএমএস) করা।
এর বাইরে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ‘অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশন্সের’ (আসিয়ান) কাছ থেকে সহযোগিতা নেবে বাংলাদেশ। এ প্রকল্পের অধীনে মাছের রোগপ্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শিখবেন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মাছ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়েও থাকবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য নয়। এ জোটের সদস্য হতে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। বাংলাদেশকে আইসিটি ও মৎস্য খাত উন্নয়নের শর্ত দিয়েছিল তারা। তাই সচিবালয়ের সঙ্গে শুরুতে এসব ‘সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার’ হিসেবে কাজ করবে আসিয়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সাল থেকে আসিয়ানের সদস্য হতে শর্ত পরিপালনের নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন।
এরই অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে দেখা যায়, এতে খরচ হবে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। পুরো ব্যয়ই সরকার দিবে।
জানা গেছে, বিশ্বের মোট মৎস্য উৎপাদনের ২০ শতাংশ আসিয়ান অঞ্চলে। ২০২০ সালে এ অঞ্চলের দেশগুলো এ খাত থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় করেছে। বাংলাদেশে মোট জনগণের প্রোটিন চাহিদার ৬০ শতাংশ সরবরাহ হয় দেশীয় উৎপাদন থেকে।
বিশ্বের ৮০০টি রিফ বিল্ডিং প্রজাতির মধ্যে আসিয়ান অঞ্চলে আছে ৬০০টির বেশি। এ অঞ্চলে এক হাজার ৬৫০টির বেশি মাছের প্রজাতি আছে। বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর ৬৪টি বৃহৎ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের একটি। আসিয়ান সদস্য হলে এ বৃহৎ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ। আসিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা। এটি ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম সদস্যপদ লাভ করে।