ভবিষ্যতে সুলভে মিলবে শুধু চাষের মাছ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মৎস্য চাষে দেড় দশকে উৎপাদন বেড়েছে ১৫০ শতাংশেরও বেশি। চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদনে (অ্যাকুয়াকালচার) বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে এখন পঞ্চম। সামনের দিনগুলোয়ও এ ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিশ্লেষক-পর্যবেক্ষক সংস্থা। এসব সংস্থার ভাষ্যমতে, কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে আমিষের সবচেয়ে সুলভ উৎস হয়ে উঠতে যাচ্ছে মাছ। বিশেষ করে অ্যাকুয়াকালচারে ব্যাপক অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় মাছের উৎপাদন ও জোগান চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাবে। মূল্যস্ফীতির কারণে বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও মাছের ওপর এর প্রভাব থাকবে সামান্য। বরং চাষের মাছ পাওয়া যাবে এখনকার চেয়েও সুলভে।

আন্তর্জাতিক খাদ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) এক প্রক্ষেপণের হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশে অ্যাকুয়াকালচারে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির গতি চাহিদার প্রবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে যাবে। একই সঙ্গে বর্তমানের তুলনায় মাছের দামও কমে যাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে মাছের উৎপাদন বাড়তে পারে এখনকার তুলনায় ৭০ শতাংশের বেশি। সে ক্ষেত্রে বার্ষিক উৎপাদন ৪৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনে গতিশীল প্রবৃদ্ধির কারণে ওই সময়ে বাজারে চাষের মাছের প্রকৃত মূল্য থাকবে এখনকার তুলনায় আরো কমতির দিকে।

এখন পর্যন্ত মৎস্য চাষে বাংলাদেশের সম্ভাবনার পুরোটাকে কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি বলে মনে করছে আইএফপিআরআই। সংস্থাটির ভাষ্যমতে, নিবিড় ও বিজ্ঞানসম্মত মৎস্য চাষের মাধ্যমে দেশের অর্ধেক পুকুর- জলাশয় ব্যবহার করেও মাছের উৎপাদন এখনকার তুলনায় কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.